রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: প্রত্যয় পেনশন স্কিম থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে অচল হয়ে পড়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। স্থগিত রয়েছে সকল একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম।
৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এ নবম দিনের মত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। এ সময় তাঁরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের পাশাপাশি স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রণয়নের দাবি জানান।
এসময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, একই সঙ্গে একই পেশার দুজন মানুষ ত্রিশ বছর পর দুই ধরনের সুবিধা পাবে এটা পেশাজীবী মানুষদের মনে অসন্তোষ তৈরি করবে। যেহেতু আমরা পূর্ব থেকেই একটি পেনশন স্কিমে ছিলাম সেটাই বলবৎ করা হোক। যেকোনো নীতি নির্ধারকের ক্ষেত্রে স্টকহোল্ডারদের মতামত নেওয়া হয় কিন্তু প্রত্যয় স্কিমে কোনো মতামত নেওয়া হয় নাই।
এসময় তিনি ভারত, পাকিস্তান এবং নেপালের বেতন কাঠামোকে উল্লেখ করে বলেন, সেখানে যেধরনের বেতন-ভাতা দেওয়া হয় আমরা সেরকম সুবিধা পাই না। যদি তাদের অনুসরণ করতেই হয় তবে আংশিক নয়, সম্পূর্ণরূপে তাদের অনুসরণ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রিফাত-উর-রহমান বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবেন। এখানে শিক্ষকেরা পদোন্নতি পান নতুন একটি নিয়োগের মাধ্যমে। ফলে দেখা যাবে, পদোন্নতি পাওয়ার পর বর্তমান শিক্ষকেরাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পড়বেন। তাই অনতিবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available