• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১০:১৮:১৬ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১০:১৮:১৬ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

দ্বিতীয় দফা বন্যায় দিশেহারা মৌলভীবাজারের ২ লক্ষাধিক মানুষ

৮ জুলাই ২০২৪ সকাল ০৯:১৩:০২

দ্বিতীয় দফা বন্যায় দিশেহারা মৌলভীবাজারের ২ লক্ষাধিক মানুষ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: উজানের পাহাড়ি ঢলে ও ভারি বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়েছে মৌলভীবাজার জেলার ৫টি উপজেলা। আবারও বাড়তে শুরু করেছে হাকালুকি হাওরসহ নদ নদীর পানি। এতে জেলাজুড়ে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ৭ জুলাই রোববার সকালে জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলমান বন্যায় মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলার ১০৪ হেক্টর আয়তনের ৭১৮টি মৎস্য খামারে মাছ ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে কুলাউড়া উপজেলার সরকারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও উপজেলা প্রশাসনিক অফিসসহ আশপাশের আবাসিক এলাকা ডুবে আছে দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে।

তবে বন্যা মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। বন্যার পানিতে কুলাউড়া উপজেলার সরকারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও উপজেলা প্রশাসনিক অফিসসহ আশপাশের আবাসিক এলাকা ডুবে গেছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারি অফিস ও হাসপাতালের সেবা প্রদানে ব্যাঘাত ঘটছে। পানিবন্দি থেকে চিকিৎসা সেবা ও উপজেলা প্রশাসনিক কাজকর্ম করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কুলাউড়া উপজেলার আবাসিক চিকিৎসক ডা.ফারহানা জেরিন বলেন, প্রথম দফার বন্যায় মৌলভীবাজার জেলার সাতটি উপজেলাই বন্যা কবলিত হয়। কিছুটা উন্নতির মাঝেই দ্বিতীয় দফার বন্যায় আবারও বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী এবং বড়লেখা। এতে নতুন করে আবারও প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ সিরাজী জানান, চলমান বন্যায় জেলার ১০৪ হেক্টর আয়তনের ৭১৮টি মৎস্য খামারে মাছ ভেসে গেছে। যার পরিমাণ ২২৫ মেট্রিক টন। পোনা বের হয়ে গেছে ৮৯ লাখ।  মাছ ও মাছের পোনা মিলে ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা

জেলা প্রশাসন আরও জানায়, ৫টি উপজেলায় ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। এতে করে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষসহ আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার নদী ও হাওরের পানি বাড়ছে। মনু, কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে।

কুলাউড়া মূল শহরের প্রধান সড়ক থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর প্রায় দেড় ফুট নিঁচু হওয়ায় শুধু বন্যা নয়, ভারি বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিষয় গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও  মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ