পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে এক বছরে কোরআনের হাফেজা দুই ছাত্রীকে রাজকীয়ভাবে বিদায় দিয়েছেন মাদ্রাসা কমিটি।
২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার চাকলাহাট এলাকার হাবিবা জান্নাত মদিনাতুল উলুম বালিকা মাদরাসায় বিদায় অনুষ্ঠান ঘিরে সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
হাফেজা দুজন হলেন- আমেনা আক্তার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দীকের মেয়ে এবং আমরিন আক্তার চাকলাহাট ইউনিয়নের বকশীপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে। আমেনা স্থানীয় একটি আলিয়া মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং আমরিন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমেনা ও আমরিন ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। পরে এক বছরের মাথায় হাফেজা হন তারা। অল্প সময়ে তাদের এ সাফল্যে খুশি মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তাই হাফেজাদের সম্মান জানাতে নানা আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়। অনুষ্ঠানে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় ফুলের মালা পড়িয়ে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে একটি সুসজ্জিত মাইক্রোবাসে বসিয়ে কয়েকটি মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল বহরের মাধ্যমে তাদেরকে রাজকীয় সম্মানে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
হাফেজা আমেনার বাবা আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, আমি খুবই খুশি যে আমার মেয়ে ৩০ পারা কোরআনের হাফেজ হয়েছে। সে দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। মহান আল্লাহর ইচ্ছায় সে কোরআনের হাফেজ হয়েছে। এজন্য মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। একইসঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষকসহ সবার কাছে দোয়া চাই।
মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. আব্দুস সালাম জানান, ২০২৩ সালে হাবিবা জান্নাত মদিনাতুল উলুম বালিকা মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমেনা ও আমরিন প্রখর মেধাবী হওয়ায় এক বছরেই পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করে হাফেজা হয়ে ওঠে। বর্তমানে মাদ্রাসায় ৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে আরও চারজন শিক্ষার্থী হেফজ সম্পন্ন করবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available