১৩২তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে শুরু হচ্ছে বাউল সম্রাট লালন স্মরনোৎসব
হাসিবুর রহমান রিজু, কুষ্টিয়া: ফকির লালন সাইয়ের ১৩২ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া আঁখড়া বাড়ীতে শুরু হচ্ছে বাউল সম্রাট ফকির লালন স্মরণোৎসব। ইতিমধ্যে মাজার প্রাঙ্গনে এসে উপস্থিত হয়েছে ভক্ত সাধু, লালন অনুসারী, আর দর্শনার্থীরা। গতকাল ১৭ অক্টোবর (১লা কার্তিক) আনুষ্ঠানিক ভাবে এর উদ্বোধন করা হবে। চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। উৎসবকে কেন্দ্র করে লালন আঁখড়াবাড়িতে ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মাজারকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। শেষ হয়েছে মাজার প্রাঙ্গন ধোয়া-মুছার কাজও। ভেতরে বসেছে বাউল ফকিরদের আসর আর কালি নদীর পাড়ে বসেছে বিশাল মেলা ও লালন মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে আলোচনা সভার এবং রাতভর লালন গানের জন্য। সিসি ক্যামেরা সহ রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। ভাববাদী লৌকিক ধর্ম-সম্প্রদায়ের সাধন সংগীত স্রষ্টা বাউল সম্রাট লালন ফকির। চৈত্রের এক দোলপুর্নিমার দিনে দুরারোগ্য এক ব্যাধি নিয়ে লালন সাইজির আবির্ভাব ঘটেছিলো ছেউড়িয়ার কালী নদীর ঘাটে। এর পর থেকে সাঁইজী তার জীবদ্দশায় সাধুসঙ্গ করতেন। তাই তার দেহত্যাগের পর তার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য এবং তার মরমিবানীকে প্রচার করার জন্য তার অনুসারিরা এই দিনটিতে তাকে বিশেষ ভাবে স্মরন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাউল সম্রাটের ১৩২ তম তিরোধান দিবসে বিশাল এই আয়োজন।বাউল সম্রাটের তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই স্মরোনোৎসব কেন্দ্রকে একদিকে চলছে শিল্পিদের শেষ মুহুত্বেও ঝালিয়ে নেয়ার কাজ। তেমনি সাধুগুরুরা ব্যাস্ত সময় পার করছে তাদের প্রান পুরুষকে স্মরন করতে। সেই সাথে লালন মেলাকে কেন্দ্র করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত দোকানীরা পসরা সাজাতে এখন দিন-রাত কাজ করছে কালী নদীর বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে।সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনায়য়ের সহযোগীতায় ও লালন একাডেমীর আয়োজনে স্মরনোৎসব সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। ভক্তবৃন্দসহ জনসাধারনের নিরাপত্তার জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।লালনের কবিত্বশক্তি সামগ্রিকভাবে শিল্প প্রেরণা জুগিয়েছে ভক্তদের মাঝে। পাশাপাশি আধ্যাত্ম-সাধনার নিগুড় পদ্ধতি গুরু-শিষ্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর গানের মাধ্যমে। তিনদিনের আয়োজনে এমন কথা ও অজানা তথ্য জানার পাশাপাশি উৎসবে মানুষের মিলন-মেলা আরও জমে উঠবে এমনটিই প্রত্যাশা সংস্লিষ্টদের।