সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের মুল হোতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক ও পাঁচটি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে সুন্দরগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ । গ্রেফতারা হলেন, উপজেলার খামার ধুবনী গ্রামের আবু বক্করের ছেলে সুরুজ্জামান (৩০) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সুমন মিয়া (২৮)।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গত ৪ জানুয়ারি দুপুরে মনিরুল ইসলামের ইজিবাইকে জনৈক শামীম নামের এক যাত্রী গাইবান্ধা শহর থেকে লক্ষ্মীপুর হাটে আসেন। ওই যাত্রী একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ইজিবাইক রিজার্ভ ভাড়া করে দুজনেই মোবাইল নম্বর আদান প্রদান করেন। পরে রাত ৯টার দিকে ওই যাত্রী ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলামকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে ধোপাডাঙ্গা বাজারে ইজিবাইকে উঠেন। পরে যাত্রী শামীমের কথামতো মনিরুল ইসলাম ইজিবাইক চৌমহনী বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় মামলার এজাহারনামীয় আসামি সুরুজ্জামান ও নজরুল ইসলাম ইজিবাইকে উঠেন। পরে বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে সেখানে না গিয়ে নজরুল ইসলামের বাড়িতে ইজিবাইকসহ যান। এ সময় তারা ইজিবাইক চালককে নাস্তা করার জন্য বলেন। ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলামকে নাস্তা করতে রাজি না হওয়ার একপর্যায়ে পান খাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তিনি পান খায়। পান খাওয়ার আধাঘণ্টা পর কি হলো মনিরুল ইসলাম কিছুই বলতে পারেন না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামিদের সহায়তায় ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলামকে পানের সঙ্গে চেতনাদায়ক ওষুধ খাওয়ালে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় চৌমহনী বাজার থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে হাতিয়া চৌরাস্তার পাশে মনিরুল ইসলামকে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেফতার ও ইজিবাইক উদ্ধারের লক্ষ্যে রাত দিন পরিশ্রম করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিন আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান।
ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ বলেন, মামলার এজাহার নামীয় আসামি সুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণের পর তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার একদল পুলিশ পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ (এ সার্কেল) ধ্রুপ জ্যোতির্ময় গোপ ছাড়াও সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. তারেকুল তৌফিকসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available