লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার লাকসাম জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মূল্যে ঔষধ বিক্রি করে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার কৈরাশ গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আব্দুল আজিজ নামক দেড় বছর বয়সী এক শিশু জ্বর ও কাশি নিয়ে লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডা. শিমুল মজুমদারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে ৪ দিনের জন্য ভর্তি দেন।
ভর্তি থাকা অবস্থায় প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনতে রোগীর মামা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী লাকসাম জেনারেল হসপিটালের নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকে ঔষধ ক্রয় করতে গেলে ফার্মেসি থেকে ৭০ টাকার স্যালাইন ১৭০ টাকা ও অন্যান্য ঔষধের নির্ধারিত মূল্যের মোট সাড়ে ৮শ টাকা, কিন্তু হাসপাতাল ফার্মেসি থেকে ১১শ’ ৭৬ টাকা রাখা হয়।
বাড়তি টাকা নেওয়ার বিষয়টি ভুক্তভোগী হাসপাতালের চেয়ারম্যান মজির আহমেদ ভূঁইয়াকে অবগত করলে, পর্যাপ্ত ঔষধ সাপ্লাই না থাকার কারণে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। ভোক্তা সাইফুল ইসলাম বিষয়টি মানতে না পেরে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরে অনলাইনের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে আগামী ১৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের ১০৫ নাম্বার রুমে ভোক্তা অধিদপ্তর কর্তৃক উভয় পক্ষের গণশুনানির দিন ধার্য করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশু আজিজের মামা সাইফুল ইসলাম বলেন, লাকসাম জেনারেল হাসপাতালের নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকে ঔষধ ক্রয় করতে গেলে ফার্মেসি থেকে ৭০ টাকার স্যালাইন ১৭০ টাকা ও অন্যান্য ঔষধের নির্ধারিত মূল্যের মোট সাড়ে ৮শত টাকা, কিন্তু হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে ১১শ’ ৭৬ টাকা রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে বিষয়টি মানতে না পেরে ভোক্তা অধিদপ্তরে অনলাইনে আবেদন করে ন্যায় বিচার আশা করছি।
অভিযুক্ত লাকসাম জেনারেল হাসপাতালের ফার্মেসি পরিচালক নাহিদ হোসেন বলেন, স্যালাইন সংকটের কারণে অতিরিক্ত দামে কিনতে হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available