মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নুরুল আলমের বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অনিয়মের অবেযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ আছে তিনি নিয়মিত অফিস না করে বেতন উত্তোলন করছেন। খেয়াল খুশিমত অফিস চালানো, পরিষদের চাবি জমা না দেয়া, অফিসের গোপন নথি বাইরে কম্পিউটারের দোকানে রাখা, সেবা প্রত্যাশীদের সাথে খারাপ আচরণ, নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি আদায়ের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নুরুল আলমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ।
চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, গত ১মাস ধরে ইউপি সচিব নুরুল আলম অফিস করেছেন না। এর আগেও তিনি অফিসে আসার ক্ষেত্রে অনিয়ম করতেন। নিজের প্রভাব খাটিয়ে ইচ্ছেমতো সপ্তাহে মাত্র ২দিন অফিস করতেন। তাঁকে বহুবার সঠিক সময়ে এবং নিয়মিত অফিস করার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু সে আমার কোন অফিসিয়াল নির্দেশই শোনে না। গত ১ মাস ধরে অফিসের চাবিও তাঁর কাছে থাকায় সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে গ্রাম আদালত পরিচালনা, জন্ম ও মৃত্যু সনদ প্রদান, ওয়ারিশী সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
চেয়ারম্যান আরও অভিযোগ করে বলেন, কয়েকজন সেবা গ্রহীতা আমার কাছে নুরুল আলেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। মে বাইরে থেকে পরিষদে কম্পিউটার অপারেটর এনে সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্সের আদায়কৃত টাকা পরিষদের একাউন্টে জমা না দিয়ে ধুরুং বাজারে কম্পিউটার অপারেটর আরফাতের কাছে জমা রাখছে । নিজে উপস্থিত না থেকৈ জন্ম ও মৃত্যু সনদের অতি গোপনীয় পাসওয়ার্ড ধুরুং বাজার, পেকুয়া, চকরিয়াসহ বিভিন্ন বাজারে কম্পিউটার অপারেটরের কাছে দিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সেবা প্রত্যাশীদের কাছথেকে এরকম অসংখ্য অভিযোগের কারণে বাধ্য হয়ে সচিব নুরুল আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হয় ইউপি সচিব নুরুল আলমের কাছে। তিনি বলেন, আমি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এখন ঢাকায় আছি। আমার চিকিৎসা চলছে। যে অভিযোগগুলো আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে আমি এগুলোর কিছুই জানি না। আমার অসুস্থতার বিষয়ে অবহিত কর ইউএনও স্যারকে একটি চিঠি দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, দক্ষিণ ধুরুং ইউপি সচিব নুরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়ে তাকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নাসিম আহমেদ বলেন, আমি তার বিরুদ্ধে একটি চিঠি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available