ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার ডুমুরিয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুত এবং ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন লংঘন করে অবৈধভাবে পরিচালিত ৭টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খর্ণিয়া ও শোলগাতিয়া এলাকায় ভদ্রা ও হরি নদীর চর ভরাটিয়া জমির কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। ইট ভাটাগুলোর লাইসেন্স এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড় পত্রের মেয়াদ দুই বছরেরও বেশি সময় উত্তীর্ণ হলেও অবৈধভাবে তা পরিচালিত হয়ে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামে একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভদ্রা ও হরি নদির তীরে অবস্থিত ১৪টি ইটভাটার জায়গা দখল এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র বিহীন ইটভাটাগুলো বন্ধে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন আদালত। যার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন গত বছর ২ ফেব্রুয়ারি ৬টি ইটভাটা উচ্ছেদ এবং ৮টি ইটভাটা সিলগালা করে বন্ধ করে দেন। কিন্তু অসাধু ভাটা মালিকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের ইটভাটাগুলো আবারও পরিচালনা করতে থাকে।
১১ ফেব্রুয়ারি রোববার খুলনা পরিবেশ দপ্তরের উদ্যোগে খর্ণিয়া ব্রিজের উত্তর পাশে অবস্থিত শাহাজান জমাদ্দারের মালিকানাধীন সান ব্রিকস, রানাই এলাকার মো. জাহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন কেবি ব্রিকস, আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের জে,বি ব্রিকস, আমিনুর রশিদের মালিকানাধীন লুইন ব্রিকস, গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকস-৪ এবং শোলগাতিয়া এলাকায় ইকবাল জমাদ্দারের মালিকানাধীন স্টোন ব্রিকস’র প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা করে মোট ২১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জেলা পরিবেশ দপ্তরের সহকারী পরিচালক পারভেজ আহম্মেদ, থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available