খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও শেষ হয়নি সড়কসহ সেতু নির্মাণ। অন্যদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়ম না মেনে সেতুর নিচ থেকেই বালু ও মাটি উত্তোলন করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করায় ধসে পড়ার ঝুঁকিতে আছে সেতুটি।
উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর থেকে হেলিপ্যাড দিয়ে খানসামা উপজেলায় আসতে ভুল্লির নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুর উদ্বোধন করার আগেই সেতুতে চলাচল করা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
২৭ জানুয়ারি শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেকু (খনন যন্ত্র) দিয়ে সেতুর নিচ থেকেই মাটি কাটা হচ্ছে। আরসিসি গার্ডার ৬০ মিটার ব্রিজটি তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩২৬ টাকা। আর সেই সেতুর নিচ থেকে নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে মাটি উত্তোলন করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিএম (জিভি)।
এতে সেতুর নিচে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সেতুর পিলারের নিচ থেকে মাটি ধসে দুর্ঘটনা ঘটাও আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় মাসুম নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে সেতুর নিচ থেকে মাটি তোলা বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীরপুর এলাকার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ভুল্লী নদী। স্থানীয় লিটন ইসলাম নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি নদী থেকে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করার ফলে সেখানে গভীর খালের সৃষ্টি হচ্ছে। আর নদীর পাশে তার নিজস্ব জমি থাকায় ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। বেশ কয়েকবার বাধা দিলেও তিনি কোনো তোকায়াক্কাই করছেন না। তাই এ মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিএম (জিভি)এর স্বত্বাধিকারী ফয়জুল বলেন, ব্যাচ ঢালাই পর্যন্ত আমার নিজস্ব মাটি ছিল সেটি উঠাইছি। এর বাইরে আমি মাটি উত্তোলন করিনি। আমি যে মাটি বা বালু ঢুকাইছি ওইখানে ওটাই বের করেছি। আমার তো আইন জানার দরকার নাই যে, আমি কয় কিলোমিটার পর্যন্ত খুঁড়তে পারবো।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহ্ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আমার জানামতে ব্রিজের পাশে জমির মাটি কিনে রাস্তা করছে। সে সেখানে গর্ত করেছিল সেই গর্তের মাটি রাস্তায় দিচ্ছে সেটা আমি নিজে গিয়ে দেখেছি। এরপর আমি তাকে মাটি কাটতে নিষেধ করি এবং সে বন্ধ করে দেয়। সে তার নিজস্ব মাটি রাস্তায় দিতে পারবে। কিন্তু দু’পাশের জমির উপরে লেভেলের মাটি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এরপরও যদি মাটি কাটে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজ উদ্দিন বলেন, 'আমি বিষয়টি অবগত নই। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। যদি অনিয়ম করে থাকে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available