কুমিল্লা প্রতিনিধি: ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু কাউছার অনিক। একই সাথে আরও ১০ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। আলোচিত কুমিল্লার দেবিদ্বারের শান্ত হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তারা। সর্বশেষ সিআইডির তদন্তে বেড়িয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের চমকপ্রদ তথ্য।
সিআইডি বলছে, বন্ধুকে হত্যা করে সাজিদ পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। রাজনৈতিক ফায়দা নিতে এসব মামলায় কৌশলে জড়ানো হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অনিকসহ দশজনকে। মূল হত্যাকারী সাজিদ হয়ে পড়েন মামলার অন্যতম সাক্ষী। ১ জুলাই ৪নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন মূল আসামি সাজিদকে গ্রেফতার আদেশ ও অনিকসহ বাকি দশজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৯ জুলাই স্থানীয় বিরোধের জের ধরে দ্বন্দ্ব হয় দেবিদ্বার নুরপুর গ্রামের দুই পক্ষের মাঝে। এ সময় পকেটে থাকা সুইস গিয়ার দিয়ে বন্ধু মেহেদী হাসান শান্তকে পেটে আঘাত করে সাজিদ। শান্তর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পালিয়ে যায় সাজিদ।
ঘটনার ধামাচাপা দিতে ছাত্রলীগ নেতা আবু কাউছার অনিকসহ নিরপরাধ ১১ জনকে ফাঁসানো হয় ৷ কৌশলে সেই মামলার ৫নং সাক্ষী হয় হত্যাকারী সাজিদ। পরে নিজেকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমায় সে। সিআইডির দীর্ঘ তদন্তে বেড়িয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য।
করোনাকালীন সময়ে আলোচনায় আসা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউছার অনিক জানান, ছাত্রলীগের রাজনীতি করে মানুষের সেবা করেছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সেবা ও মৃত মানুষের দাফন করেছি। আমাদের ভালো কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি। আমাদের হয়রানি করাই ছিলো এই মিথ্যা মামলায় জড়ানোর উদ্দেশ্য।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল বলেন, প্রকৃত আসামিকে আড়াল করতে হত্যাকারীকে মামলায় সাক্ষী করা হয়। নিরপরাধ মানুষকে আসামি করে মামলার মোড় অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছে। পিবিআই ও সিআইডির দীর্ঘ তদন্ত শেষে অনিকসহ বাকি দশজনকে অব্যাহতি দিয়েছে। একই সাথে সাজিদকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available