বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: এক সেনেটারি ব্যবসায়ীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২২ নভেম্বর বুধবার রাতে পটুয়াখালীর বাউফলে কালিশুরী ইউনিয়নের কালিশুরী বাজারের পুরানো ব্রিজ সংলগ্ন ফল ব্যবসায়ী সালাম খানের বাড়িতে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ব্যবসায়ী আমিনুল হোসেনকে ভয়ভীতি ও প্রান নাসের হুমকি দেখিয়ে মিথ্যে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় এবং যা ঘটেনি সেই ঘটনার মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেন কেশবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী মো. আমিরুল হোসাইন, পিতা মৃত চান্দু হাওলাদার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. আমিনুল হোসাইন বলেন, ‘আমি বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পর আমাদের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাড়িতে এসে বলেন, আমিনুল তুমি আমার সাথে চলো। আমি জানতে চাই, আমি কোথায় যাব? সাইফুল বলেন, একটি শার্ট নিয়ে আসো। আমরা কালিশুরী খান বাড়িতে যাবো। এই কথা বলে মোটরসাইকেলযোগে কালিশুরী খান বাড়িতে আমাকে নিয়ে যান। বাড়িতে ঢুকে একটি ঘরের কক্ষে গেট লাগিয়ে দিয়ে আরও দুই তিনজন সাথে নিয়ে একটি দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখান। আমাকে বলতে বাধ্য করেন, আমি নাকি একজনকে চাকরি দেয়ার নাম করে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা আমার নিজ হাতে লেনদেন করেছি। এ কথা আমি স্বীকার না করলে আমাকে হত্যা করবে। তারপর জীবন ও পরিবার বাঁচাতে আমি তাদের শেখানো মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়েছি। আমার মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে জোরপূর্বক ফোন আনলক করে তা ভিডিও রেকর্ড করে ফোনটি নিয়ে আমাকে বদ্ধ কক্ষ থেকে বের করে দেন এবং এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি ধামকি দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাতিজা আমাকে ফোন করে বলেন আমার মা এবং বোন কালিশুরী ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য যাবে। আপনি আমার মা এবং বোনকে একটু সহযোগিতা করবেন। কিন্তু একই একাউন্টের চেক দিয়ে দুইবার টাকা উত্তোলন করা যাবে না বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান। ব্যাংক থেকে চলে আসার পরে আমিনুলের দোকানের পিছনে ফাঁকা জায়গায় বসে ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান গাজীর ছেলে সজীব গাজীর সাথে কথাবার্তা বলে চলে যায়। কি কথাবার্তা বলেছে আমি কিছুই জানি না। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই আমার সাথে এমন ঘটনা ঘটে। আমার নিরাপত্তার জন্য আমি এ ব্যাপারে বাউফল থানায় একটি জিডি করি।’
এ বিষয়ে জানার জন্য কেশবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ বিষয় কিছুই জানেন না বলে জানান।
এ বিষয় বাউফল থানার নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available