নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় যৌথভাবে ‘সিএস পেশাদারদের জন্য বর্ধিত কাজের পরিধি’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) এবং দি ইনস্টিটিউট অব কোম্পানি সেক্রেটারিজ অব ইন্ডিয়া (আইসিএসআই)।
১৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার হলিডে ইন হোটেলে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
শুক্রবার দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অধিবেশনে আইসিএসবি’র সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন অতিথিদের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান ও পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আইসিএসবি’র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ এফসিএস এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিএসআইয়ের প্রেসিডেন্ট সিএস মানীশ গুপ্ত।
এসময় আইসিএসবি’র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ এফসিএস বলেন, এই প্রশিক্ষণটি আইসিএসবি ও আইসিএসআইয়ের সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করবে। আগামী দিনে উভয় দেশের কোম্পানি সেক্রেটারিদের উন্নয়নে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
প্রধান অতিথি সিএস মানীশ গুপ্ত এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আইসিএসবিকে ধন্যবাদ জানান৷ তিনি সিএস পেশাদারদের জন্য কাজের বর্ধিত পরিধি সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি আইসিএসবি’র সাথে পেশাদার দক্ষতার সহায়তা বিনিময় অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গুপ্ত আইসিএসবি’র সদস্যদের আইসিএসআইয়ের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। তিনি সিএস পেশার উন্নয়নের জন্য এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ফোরাম তৈরির ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী এম নুরুল আলম এফসিএস এবং আইসিএসবি’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, চার্টার্ড সেক্রেটারি প্রফেশনালরা তাদের পেশাদার কোর্স পাঠ্যক্রম থেকে দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে এম অ্যান্ড এ প্রক্রিয়া এবং ডিউ ডিলিজেন্স রিপোর্টিংয়ের জন্য কোম্পানিগুলিকে আরও ভালভাবে সহযোগিতা করতে পারে। ডিজিটাল অগ্রগতি, এফডিআইকে উৎসাহিত করা এবং ব্যবসার পরিবেশ ভালো করার জন্য আনা পরিবর্তনগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-কে নতুন আইন দিয়ে প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। আরএমজি এবং পাবলিক সেক্টরসহ সমস্ত কোম্পানির জন্য সেক্রেটারিয়াল অডিট প্রবর্তন সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং ব্যবসায়িক ব্যর্থতা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সেশনের রিসোর্স পার্সন, মডারেটর এবং প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন সিএস আশিস মোহন, সিএস মনোজ কুমার পূর্বে, সিএস রূপাঞ্জনা দে, সিএস রঞ্জিত পান্ডে, সিএস সিএমএ ডক্টর কৌশিক ব্যানার্জি, এস আবদুর রশিদ এফসিএস, ব্যারিস্টার জহরত আদিব চৌধুরী, ব্যারিস্টার কাজী এরশাদুল আলম, মোহাম্মদ শাহেদ আলম, সিএস মলয় কুমার গুপ্ত, অপূর্ব কান্তি দাস, ড. আব্দুল মান্নান সিকদার, সিএমএ ভি. মুরালি এবং সিএমএ রাজেন্দ্র সিং ভাটি, হোসেন সাদাত এফসিএস, প্রফেসর ডক্টর ফিরোজ ইকবাল ফারুকী এফসিএস, প্রফেসর সিএস সুব্রত কুমার রায় এবং সিএস কৌশিক মুখার্জি।
প্রশিক্ষণে করপোরেট গভর্নেন্স, এনভারনমেন্টাল, সোশ্যাল এবং গভর্নেন্স (ইএসজি), করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর), কোম্পানি ল’, সেক্রেটারিয়াল অডিট, মার্জারস অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন (এম অ্যান্ড এ), ডিউ ডিলিজেন্স রিপোর্টিং, ইনকাম ট্যাক্স আইন, মূল্য সংযোজন কর এবং পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আইসিএসবি’র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ এফসিএস এবং আইসিএসআইয়ের প্রেসিডেন্ট সিএস মানীশ গুপ্ত অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিএসবি’র কাউন্সিল মেম্বার এবং ইনস্টিটিউটের সদস্যবৃন্দ।
শেষে আইসিএসবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ.কে.এম. মুশফিকুর রহমান এফসিএস ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available