ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপির অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় এবং তিনজনকে পাবনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
১২ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পুকুরপাড় গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করেছে। রাতে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, ওসি শফিকুল ইসলাম এবং সেনা সদস্যরা হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পুকুরপাড় গ্রামে উদয় সংঘ নামে একটি সামাজিক সংগঠন রয়েছে। সংগঠনের সদস্য সংখ্যা শতাধিক। বেশ কিছুদিন ধরে এই সংগঠনের কার্যালয়ের চাবি সংগঠনের সভাপতি ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম ফকিরের কাছে আছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির উপদেষ্টা ফয়জুল করিম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সানোয়ার হোসেন, আহম্মদ আলী, আব্দুর রাজ্জাক ও পুকুরপাড় আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আলী সালাম ফকিরের কাছ থেকে চাবি নিতে চাচ্ছিলেন।
সালাম ফকির জানান, চাবিটি ক্লাবের সদস্য হেলালের কাছে রয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় হেলালকে ডেকে নিয়ে এসে চাবিটি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে দেন সালাম ফকির। এরপরেও আওয়ামী লীগ নেতা ফয়জুল, সানোয়ার, রাজ্জাক, রওশন ও আহম্মদ আলীর নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুস সালামসহ তার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে ২০/২২ জন বিএনপি নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হন।
এ ঘটনায় আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরা হলেন, পুকুর পাড় গ্রামের বাসিন্দা ও বিএনপি কর্মী কালাম, আকরাম, সাদ্দাম, কালাম-২, গাজী, জব্বার, ঈমন, মমিন, ছাব্বির, শাহিন, হেলাল, তালেব, আলো প্রামানিক। এছাড়া আহত নিরজাপ, সাহাদত, ছানোয়ার হোসেনকে পাবনায় এবং আব্দুল মালেককে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে পুকুরপাড় গ্রামের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকে ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।
তবে পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য জিন্নাহ আলী বলেন, শুনেছি ক্লাবের চাবি এবং টাকা পয়সা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২০-২৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ক্লাবের চাবি নিয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের মধ্যে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা ও ঢাকা পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available