স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় লাভলু মিয়া (২৯) নামে আন্তঃজেলা চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বোদা থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া লাভলু মিয়ার বাড়ি রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার দক্ষিণ চেংমারী এলাকায়। সে ওই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।
২ মে রবিবার দিবাগত রাতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোমবার ৩ মে বিকেলে তাকে পঞ্চগড় আদালতে তোলা হয়। আদালত আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার পত্রিকা এজেন্ট আসিফুজ্জামান আসিফ তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বিক্রির জন্য বিক্রয় ডট কমে বিজ্ঞাপন দেন। পরে মুঠোফোনে মোটরসাইকেলটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন এক ব্যক্তি। এরপরে বোদা পৌরসভার নগরকুমারী এলাকায় ২১ মে মঙ্গলবার গাড়িটি চালিয়ে দেখার কথা বলে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
একপর্যায়ে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে এ ঘটনায় ২৩ মে বৃহস্পতিবার আসিফ বাদি হয়ে বোদা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনার ১২ দিনের মধ্যে চোরের অবস্থান শনাক্ত হয়। পরে রবিবার দিবাগত রাতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার দক্ষিণ চেংমারী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটিসহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পরে জানা যায়, মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম লাভলু মিয়া। তিনি মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চুরির আন্তঃজেলা চক্রের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বোদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল চুরির পর থেকে আমরা অভিযানে নামি। চোরের লোকেশন সনাক্তে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হলেও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চুরি যাওয়ার ১২ দিনের মধ্যে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। খুব দ্রুতই আদালতের মাধ্যেমে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি বাদির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, মোটরসাইকেল কেউ বিক্রি করতে চাইলে চক্রটির সদস্যরা বিক্রেতার সাথে দ্রুতই সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল ট্রায়ালের কথা বলে নিয়ে পালিয়ে যেত। এ ধরনের একাধিক মামলার মুখোমুখি হয়েছে পুলিশ। তবে আমরা এ ঘটনার মামলার পর থেকে তৎপর ছিলাম।
এ ঘটনার পর থেকে খুব দ্রুতই আসামিসহ চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এই চোর আন্ত:জেলা যানবাহন চুরি চক্রের সাথে জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় নেয়া জবানবন্দিতে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানানি এ কর্মকর্তা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available