কবি আবদুল হাই শিকদার: আমাদের সম্মিলিত অবহেলা, উদাসীনতা, অনাদর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে মৃত্যুর মাত্র ৫ বছরের মধ্যে হারিয়ে গেছে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের কবর। এখন কবর বলতে আছে শুধু একটি নাম ফলক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মৌরাইল গোরস্তানে সমাহিত কবির কবর জিয়ারত করতে গিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হই আমরা। আল মাহমুদের কবরের উপর দাফন করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। কবরের উপর একাধিক কবর । ডাইনে বায়ে কবর।
কবি আল মাহমুদ একাডেমির প্রধান, অধ্যাপক, সংগঠক, কবি মহিবুর রহিম আমাকে ও কবি গবেষক ড. ফজলুল হক তুহিনকে নিয়ে গিয়েছিলেন গোরস্তানে। আল মাহমুদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার আমন্ত্রণেই আমাদের দু’জনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়া।
একটি নামফলক এবং গায়ে গায়ে লাগানো দুটি কবরের মাঝখানে অতি সংকীর্ণ অংশটুকু দেখিয়ে, প্রায় ব্যথিত কণ্ঠে মহিবুর রহিম বললেন, এখানেই আল মাহমুদের কবর। অবশ্য কবর বলতে এখন এই নাম ফলকটিই সম্বল।
তুহিন আর আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। আহা … এ রকম নিষ্ঠুরতা কী আল মাহমুদের প্রাপ্য ছিল!
ইচ্ছে করছিল বাতাস আকাশ কাঁপিয়ে চিৎকার করি, ইতর, অসভ্য, আত্মঘাতী, অবিমৃশ্যকারী, …… বলে বলে। কিন্তু বলা হলো না। কাকে বলবো? কোথাও তো কেউ নেই!
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available