আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: কোনো এক অজানা কারণে একই বাড়িতে বার বার আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউপির হরিমৃত্যুঞ্জয় গ্রামের হারুন প্যাদার বাড়িতে । ভুক্তভোগী হারুন প্যাদা জানান, কোনও এক ‘অলৌকি’ কারণে তার বাড়িতে ৬ দিনে ১৭ বার আগুন ধরছে। কখনও রান্নাঘরে, কখনওবা কাপড়ের ট্রাংকের ভেতর, কখনও ঘরের চালাতে। তাই আগুনে পুড়ে যাওয়ার ভয়ে বাড়ির লোকজনের ব্যবহার্য কাপড়-চোপড় ও মালামাল অন্যের বাড়িতে রেখে এসেছেন তিনি ।
সর্বশেষ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দু’বার আগুন লেগেছে, পাকের ঘরে ও গরুর খড়ে। প্রথম ২৯ জুলাই শনিবার ভোরে ও সকালে ঢাকনা দিয়ে রাখা প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর দু’বার, দুপুরে গোয়াল ঘরে একবার আগুন লাগে। এরপর থেকে ঘরের বিভিন্ন স্থানে ১৭ বার আগুন লেগেছে।
ভুক্তভোগী হারুন প্যাদার ছেলে শাহিন প্যাদা বলেন, আমরা এখন বিশ্বাস করে নিয়েছি এটা ‘অলৌকিক’ আগুন।
হারুন প্যাদার বাড়ির উঠানে ফেলে রাখা হয়েছে আগুনে পোড়া তোষক। কিন্তু কীভাবে এসব ঘটছে বুঝতে পারছে না কেউ। হারুন প্যাদার স্ত্রী খালেদা বেগম বলেন, পরিবার নিয়ে সবাই খুব আতঙ্কে আছি। ৬ দিন ধরে হঠাৎ করেই বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগছে। ঘরের বিছানায়, পর্দায়, গোয়াল ঘরে আগুন ধরে যাচ্ছে। এমন ঘটনা কখনও দিনের বেলা ঘটছে, কখনো রাতে। কিন্তু কীভাবে আগুন ধরছে সেটা আমারা কেউই কিছু বুঝতে পারছি না। দরজা বন্ধ করে দিয়ে সবাই বাইরে বেরিয়ে যাবার পরেও ঘরের বিছানায় আগুন কীভাবে ধরে যাচ্ছে সেটাই আশ্চর্যজনক লাগছে। বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে। ইলেকট্রিক মিস্ত্রীকে দিয়ে গোটা বাড়ির ইলেকট্রিক লাইন পরীক্ষা করানো হয়েছে। লাইনে কোনও সমস্যা নেই। তবুও হঠাৎ হঠাৎ আগুন ধরে যাচ্ছে। প্রতিবেশী ঈসমাইল চৌকিদার বলেন, এমন ঘটনা সিনেমায় দেখেছি। গোয়েন্দা ও ভূতের গল্পের বইয়ে পড়েছি। আর এখন সেই সব বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি।
প্রতিবেশী বাবুল মিয়া, মিলন মিয়া ও মো. রুবেল বলেন, আমরা শুনেছি, হারুন প্যাদার মেয়ে সোমা স্বপ্নে দেখেছে, সে গুপ্তধন পাবে এ জন্য তাকে একটি ভোগ দিতে হবে। সোমা আক্তার এঘটনা তার বাবা-মাকে জানালেও তারা ভোগ দেয়নি। স্বপ্নে যেদিন ভোগ দিতে বলেছে, সেদিন ভোগ না দেওয়ায় তার পরের দিন থেকে আগুন লাগতেছে, এ কথা তারা হারুন প্যাদার বাড়ির লোকজনের কাছ থেকেই শুনেছেন । আর আগুন লাগা প্রথমে দেখতে পায় হারুনের মেয়ে সোমা তারপর বাড়ির অন্যলোকজন দেখে । বর্তমানে হারুন প্যাদার বাড়িতে প্রতিদিন শতশত লোক ভিড় করছে। আমরা প্রতিবেশীরাও আতংকের মধ্যে আছি।
এ ব্যাপারে কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার বলেন, বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখতেছি। অন্যদিকে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available