পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় জেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. লালু সিকদারকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে লিজা বেগম নামের এক গৃহবধূকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়, মামলা নং- ১৬৬/২২। মামলায় ৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে ১ নং আসামী লালু সিকদারকে ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে বোতলবুনিয়া বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিনে মামলার আরেক আসামি লালু সিকদারের ছেলে আতিক সিকদারকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার এএসআই মো. মোজাম্মেল । পরে গ্রেফতার আসামীদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনীতে জানা যায়, মামলার বাদী লিজা বেগমের স্বামী মো. সোহাগ মৃধাকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে গত বছড় ২১ নভেম্বর লালু সিকদারের নেতৃত্বে আসামিরা বাদীর বাড়িতে হামলা চালায়। মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে মামলার বাদী লিজা বেগমের বাড়িতে মোটরসাইকেলযোগে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায় আসামিরা। এ সময় সোহাগ মৃধাকে বাড়িতে না পেয়ে তার বসতঘড়ে ভাংচুর চালায় আসামিরা। তাদের বাধা দিলে সোহাগ মৃধার স্ত্রী লিজা বগমকে বেধরক মারপিট করে লালু সিকদার ও তার সহযোগীরা। হামলায় লিজা বেগমকে পিটিয়ে, লাথি মেরে ও কিল-ঘুষি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা। এ সময় তার পরিহিত স্বর্ণালংকার ও বাড়িতে রক্ষিত নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লুট করে লালু ও তার সহযোগীরা।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে তালতলীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডাকাতির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন লালু সিকদার। সে ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১০ বছড় কারাবাস করেন লালু, মামলা নং -২৬/৯৪। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ২০২০ সালে তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া যায়। সে ঘটনায় দায়ের করা মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে, মামলা নং- ৩২৩/২০। এ ছাড়া লালু সিকদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available