• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৪৭:১৩ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৪৭:১৩ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ধর্ম ও জীবন

‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ৩ দিনের ইজতেমা

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৯:১৭

‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ৩ দিনের ইজতেমা

নিজস্ব প্রতিবেদক: লাখো মুসল্লির অশ্রু সজল নয়নে আমিন-আমিন ধ্বনীতে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিন দিনের  ইজতেমা। শেষ দিনে মুসল্লির ঢল নামে। সুবিশাল প্যান্ডেলের ভিতরে-বাইরে মুসল্লির উপস্থিতি ছাড়িয়ে রাস্তায় গিয়ে পৌঁছে। অনেকেই জায়গা না পেয়ে রাস্তাঘাটে এমনকি বাসা বাড়িতে, ছাদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন।

১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত হয় আখেরি মোনাজাত। মুসল্লিরা রবের প্রার্থনায় দুই হাত তুলে কান্নায় আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। এ সময় ‘আমিন আমিন ধ্বনি’তে ইজতেমা ময়দানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ইসলামের জীবন বিধান মেনে সারাবিশ্বে নেকীর দাওয়াত পৌঁছে দিতে মহান রবের সাহায্য কামনা করা হয়। দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি, বিশেষ করে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সভাপতি (নীগরান) মাওলানা আব্দুল মোবিন আত্তারি।

এর আগে জুমার নামাজে ইমামতি করেন সংগঠনটির মুবাল্লিগ হাফেজ মাওলানা আরাফাত আত্তারী। জুমার পূর্বে দাওয়াতি কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে বয়ান করেন দাওয়াতে ইসলামীর জিম্মাদার (মিডিয়া বিভাগ) মুফতি মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী আত্তারী।

শেষ দিন শুক্রবার সকাল থেকে জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগগণ কোরান-হাদিসের আলোকে ইসলামের মৌলিক বিষয়ে বয়ান করেন। তার মধ্যে ইসলামী শরীয়তের বিধি বিধান, নামাজের গুরুত্ব ও বেনামাজির শাস্তি, আজান-ইকামত ও নামাজ পড়ার নিয়ম-পদ্ধতি, মা-বাবার প্রতি সন্তানের হক, জুলুম-অত্যাচারের পরিণতি, নামাজের গুরুত্ব ও বেনামাজির ভয়াবহ পরিণতি, ব্যভিচার থেকে নিজেকে রক্ষা করে কুরআন হাদিসের আলোকে জীবন গড়া, মৃত্যু, কবর ও হাশরের প্রস্তুতি  ইত্যাদি। এসব বয়ানের ফাঁকে ফাঁকে চলে হামদ ও নাতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা এবং দোয়া মোনাজাত।

শেষ দিনের ইজতিমায় ধারাবাহিকভাবে এসব বিষয় তুলে ধরে বয়ান করেন দাওয়াতে ইসলামীর মোবাল্লিগ  মাওলানা মুহাম্মদ কলিম মাদানী আত্তারী, মাওলানা গোলাম ইয়াসিন আত্তারী ও মাওলানা সোহেল মাদানী প্রমুখ।

আল্লাহ পাকের নির্দেশিত পথে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নি:শর্ত অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগণ বলেন, আল্লাহর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনাদর্শ অনুসরণেই মানবতার মুক্তির সনদ নিহিত। ইসলামের জীবন বিধান মেনে চলা গেলে এবং প্রিয় রাসুলের সুন্নাতের রঙ্গে রাঙ্গায়িত হয়ে মোত্তাকি হতে পারলেই আপনার দুনিয়া-আখেরাতের মুক্তি মিলবে। আর প্রিয় হাবিবের প্রতি সর্বোচ্চ ভালোবাসাই ঈমানের পূর্বশর্ত। আল্লাহ পাক ও তার প্রিয় রাসূলের সৃষ্টির জন্যই হতে হবে আমাদের নিয়্যত, চিন্তাধারা, কর্মকাণ্ড সবকিছুই।’ বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে ইসলামে নেকীর দাওয়াত পৌঁছে সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার আহবান জানান তারা।

শরীয়ত মতে যথাযথভাবে নামাজ আদায়ের আহ্বান জানিয়ে তারা আরো বলেন, আল্লাহ পাক ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে নামাজ আদায় করতে বলেছেন ঠিক সেভাবেই নামাজ পড়তে হবে। নামাজেই যত প্রশান্তি। লোক দেখানো নামাজে হবে না। বরং শেষ বিচারে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ, রয়েছে কঠিন শাস্তি। সন্তানকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করতে হবে। সুসন্তানের আমল নিজের জন্য তো বটে, তার মা-বাবার জন্যও নাজাতের অছিলা হবে- বলেন দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগরা।

দাওয়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী বিভাগের জিম্মাদার আরমান আত্তারী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আল্লাহর রহমতে সুন্দরভাবে তিনদিনের সুন্নাতেভরা ইজতেমা শেষ হয়েছে। ইজতেমার আয়োজনে সহযোগিতার জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসন, পীর মাশায়েখ ও আশেকে রাসূলদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইজতেমায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বয়ান হয়েছে। বাস্তবজীবনে একে কাজে লাগানো গেলে তাহলেই স্বার্থকতা। আসুন প্রত্যেক মানুষের কাছে আমরা ইসলামের নেকীর দাওয়াত পৌঁছে দেই।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার ফজরের নামাজের পর শুরু হয় তিনদিনের সুন্নাতে ভরা এই ইজতেমা। ইজতেমায় সারাদেশ থেকে লাখো আশেকানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যোগদানের মধ্যদিয়ে মাদানি পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তিনদিনের ইজতেমায় বিষয় ভিত্তিক বয়ান করেন দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগরা। ইজতেমায় এতলোক তিনদিন তিনরাত যাপন করলেও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তাৎক্ষণিক সুকিচিৎসার জন্য করা হয় মেডিকেল ক্যাম্প। দাওয়াতে ইসলামীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাশাপাশি ইজতেমায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা দিনরাত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে। ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের পরপরই নেকির দাওয়াত পৌঁছে দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩দিন, ১২দিন, ৩০দিন ও ৬৩দিনের জন্য সংগঠনটির ১১২টি টিম মাদানি কাফেলা সফর শুরু করেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ





শীতে চুল ও দাড়ির যত্ন নিবেন যেভাবে
২৩ নভেম্বর ২০২৪ দুপুর ০২:১০:১৮