আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল দুই রাত আগে একটা দোষ করেছে। এ ক্ষেত্রে ইরানি জাতির শক্তি, ইচ্ছা-উদ্যম এবং উদ্যোগ-উদ্ভাবনের বিষয়টি তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর শহীদদের পরিবারের একদল সদস্য ২৭ অক্টোবর রোববার সকালে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইহুদিবাদীদের সামনে শক্তি তুলে ধরার মান-ধরন কেমন হবে সে বিষয়টি আমাদের কর্মকর্তারা নির্ধারণ করবেন এবং দেশ ও জাতির জন্য যা কল্যাণকর তা করবেন।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, ইরানের ব্যাপারে ইহুদিবাদীরা ভুল হিসাব-নিকাশের মধ্যে রয়েছে। তারা ইরানকে চেনে না। ইরানের জনগণের শক্তি-সামর্থ্য, ইচ্ছা-উদ্যম এবং উদ্যোগ-উদ্ভাবন এখনো ঠিক মতো বুঝতে পারেনি তারা। আমাদের পক্ষ থেকেই এটা তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা ও লেবাননে যা করছে তা নৃশংসতম যুদ্ধাপরাধ। যুদ্ধ একটা কঠিন বিষয়, তবে এর নিয়ম, আইন এবং সীমা-পরিসীমা রয়েছে। এটা এমন নয় যে, কেউ যখন কারো সাথে যুদ্ধ করবে তখন সে সব সীমা লঙ্ঘন করবে।
তিনি ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গাজা এবং লেবাননে অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করতে গোটা বিশ্বকেই ইহুদিবাদী (জায়নবাদী) ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নিকৃষ্ট ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রয়োজনে সামরিক জোট গঠন করতে হবে। ইহুদিবাদী ইসরাইল সবচেয়ে নৃশংস যুদ্ধাপরাধ করছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সামান্যতম সাহায্য করাও সবচেয়ে নিন্দনীয় এবং সবচেয়ে বড় পাপ।
আয়াতুল্লাহ খামেনি আরও বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বকে রুখে দাঁড়াতে হবে, সরকারগুলোকে বিশেষ করে মুসলিম সরকারগুলোকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ব্যাপারটা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সাহায্য করা বা না করা নয়, অবশ্য এটাতো সবচেয়ে বড় পাপগুলোর একটি। বিষয়টা হলো, দখলদার ইসরাইলের মোকাবেলায় রুখে দাঁড়াতে হবে যাতে তারা অপরাধ বন্ধ করে। সূত্র: পার্সটুডে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available