আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলায় ৭ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় কড়া হুংকার দিয়েছে ইরান। এতে আতঙ্কিত ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররাও এমনটাই ধারণা করছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েল চ্যালেঞ্জিং সময়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে সবদিক থেকে ইসরায়েল প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে সম্ভাব্য হামলার ক্ষেত্রে নির্ভুল নিশানার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে ইরান। সূত্রটি বলছে, হামলার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
এরআগে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। সেই ঘটনার পর ইসরায়েলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে ইরান। তারপর থেকেই অঞ্চলটিতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েল তার মিত্র দেশগুলোকে জানিয়েছে, গাজায় আরও একটি বড় ধরনে অভিযান শুরুর আগে তারা ইরানি হামলার অপেক্ষা করছে। তবে ইরানি হামলা বা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান কবে শুরু হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
গোয়েন্দারা জানিয়েছে, ইসরায়েলে সরাসরি ইরান থেকেই হামলা করা হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। বরং লেবাননে থাকা ইরানপন্থী হিজবুল্লাহও এই হামলা চালাতে পারে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মিত্র দেশগুলোর গোয়েন্দা মূল্যায়নকে আমলে নিয়েছে।
এদিকে, ইরানি প্রতিশোধের ভয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ইসরায়েলি দূতাবাসগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এমনকি কয়েকটি দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিতও করা হয়েছে। তবে কোন কোন দেশের দূতাবাস বন্ধ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ব্লুমবার্গ।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবর অনুযায়ী, এফ-১৫ ফাইটার জেট ঘাঁটিতে ইসরায়েলি সামরিক পাইলটদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জিং সময়ে রয়েছি, আমরা গাজায় একটি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি, যা পুরোদমে চলছে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available