আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের বৈরুতসহ বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা ও হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার পর এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও গোলন্দাজ বাহিনী ইতোমধ্যেই দক্ষিণ লেবাননে প্রবেশ করেছে বলে ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে। একইসঙ্গে বিমান হামলাও চালাচ্ছে দখলদার দেশটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের সৈন্যরা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যস্থল ও অবকাঠামোর বিরুদ্ধে ‘সীমিত, স্থানীয় ও লক্ষ্যভেদী স্থল হামলা' শুরু করেছে। তারা আও জানায়, সীমান্তের কাছে লেবাননি গ্রামগুলোকে টার্গেট করছে। হিজবুল্লাহ এসব অবস্থান থেকে উত্তর ইসরায়েলের ইসরায়েলি কমিউনিটিগুলোর প্রতি হুমকি সৃষ্টি করেছিল।
ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতারা হামলাটি অনুমোদন করেছে। এর আগে আইডিএফের জেনারেল স্টাফ এবং নর্দার্ন কমান্ড এ ব্যাপারে প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা সম্পন্ন করে বলে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়।
অপারেশন নর্দার্ন অ্যারোস, নামে এই হামলাটি গত মাসে শুরু হওয়া অভিযানেরই সম্প্রসারিত রূপ। গত কয়েক দিন ধরে এই হামলাটি আসন্ন বলে মনে হচ্ছিল। বিশেষ করে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর আন্দোলনটি ইসরায়েলে অব্যাহতভাবে ইসরায়েলের সামরিক অবস্থানে রকেট হামলা চালানোর ফলে উত্তেজনা বাড়ছিল।
ইসরায়লি হামলায় হামাসের এলিট ফোর্স রাদওয়ান ফোর্স বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারকে হারিয়েছিল। তবে তাদের যোদ্ধারা এখনো সক্রিয় আছে। নাসরুল্লাহ জীবিত থাকার সময় বলেছিলেন যে হিজবুল্লাহর এক লাখের বেশি যোদ্ধা রয়েছে। ফলে কমান্ডাররা নিহত হলেও তাদের সহকারীরা রয়ে গেছেন।
দেশটিতে সর্বশেষ আক্রমণে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হওয়ার পর নাঈম কাসেম তার প্রথম বক্তব্যে বলেন, আমরা যেকোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত এবং ইসরায়েল স্থলপথে প্রবেশ করলে আমরা স্থল যুদ্ধে অংশ নিতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। আমরা আগেও জয়ী হয়েছি, এবারও জয়ী হবো। (সূত্র: আল জাজিরা)
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available