নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী। ১২ জন শিক্ষকের এই বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় মাত্র দুইজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। কিন্তু তারাও অকৃতকার্য হয়েছে।
১২ মে রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে ওই বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া কোনো শিক্ষার্থীই পাস না করায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে গোটা উপজেলা জুড়ে। এছাড়া ওই দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা পড়েছেন হতাশায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে উপজেলার হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
তবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠানটি হওয়ায় সরকারিকরণের জন্য ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদন পায়। যা প্রক্রিয়াধীন। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ বারোজন শিক্ষক এবং তিনজন কর্মচারী রয়েছেন। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটি একাডেমিক স্বীকৃতি পেয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানাতে পারিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
১৩ মে সোমবার সকাল ১১টায় সরেজমিনে ওই প্রতিষ্ঠানে গেলে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কক্ষ তালাবদ্ধ। দীর্ঘদিনেও খোলা হয়নি অফিস কক্ষসহ শ্রেণিকক্ষের দরজা-জানালা। মাঠে চরে বেড়াচ্ছে গরু-ছাগল!
স্থানীয় লোকজন বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। হঠাৎ কোনো সময় ২-১ জন শিক্ষক-কর্মচারী আসলেও কোনো ছাত্র-ছাত্রী এ প্রতিষ্ঠানে দেখিনি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হাবীবের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে তার মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, সরকারের কোনো বেনিফিট নেই, নেয় না, নিতে পারে না। জবাবদিহিতা তারা কোথায় করবে?
শিক্ষার এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ওদের পেটে ভাত নেই! আমি কোথায় মাইর দিব? কোথায় থেকে নিয়ে এসে কাকে কীভাবে পরীক্ষা দিয়েছে ওরাই ভালো জানে। ওরাই স্পষ্ট করবে।
নীলফামারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available