স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর: ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য এ.কে. আজাদ বলেছেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার অভাবে দেশে ছেলে-মেয়েদের বেকারত্বের হার বাড়ছে। তবে কোয়ালিটি এডুকেশনের দিকে জোর দিলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।
১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যেমে যুক্ত হয়ে দেশের ৬৪ জেলার এক সাথে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।
ফরিদপুর শহরের মহিম ইনস্টিটিউশন মাঠে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের আয়োজনে ৪০টি স্টল নিয়ে বিভিন্ন প্রাণি ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনী মেলায় ৪০টি স্টল অংশ নেয়। এছাড়া আটটি ক্যাটাগরিতে মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টল মালিকদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এর মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠানকে চেক ও বাকিদের পুরস্কৃত করা হয়। এই মেলায় বিভিন্ন ধরনের পশু, পাখি, পশু খাদ্যের দোকান এবং পশু খাদ্যের চিকিৎসার সরঞ্জামাদিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান ও এনজিও সংস্থা অংশগ্রহণ করে।
সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি এ.কে. আজাদ ফিতা কেটে প্রদশর্নীর উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ও তাদের প্রতিষ্ঠানের মান বাড়াতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আলোচনা সভায় ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীম সভাপতিত্ব করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য এ.কে. আজাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে এলাকার বেকারত্ব দূর করার অঙ্গিকার করেছিলাম। আমি তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কিন্তু কর্মসংস্থান দিতে গিয়ে ইন্টারভিউ নেওয়ার পরে রেজাল্ট দেখে খুব কষ্ট লাগে।
তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনার (ইউএনও) সুযোগ আছে। আপনার আন্ডারে স্কুল কলেজগুলোর মান নিয়ে কাজ করেন। শিক্ষার্থীদের আপনি (ইউএনও) যা পড়ানো হয়েছে তা থেকে প্রশ্ন করে দেখেন, তারা ঠিক মত উত্তর দিতে পারে কি না।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হলে শিক্ষকদের উপরই নির্ভরশীল না হয়ে নিজেরাও সন্তানদের গাইডে রাখবেন। সন্তানেরা কি করছে, কি পড়ছে, তারা যা পড়েছে তার উত্তর দিতে পারছে কি না।
তিনি আরও বলেন, আমি বেকার ছেলে-মেয়ে ও অর্ধশিক্ষিতদের জন্য গেরদা ইউনিয়নের পশরা গ্রামে ট্রেনিং সেন্টার খুলেছি। সেখানে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরীর এ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে ধরিয়ে দিয়ে চাকরিতে পাঠাচ্ছি।
মাত্র ১ মাস থেকে ৪০ দিন ট্রেনিং দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ট্রেনিং নিতে যাতায়াত ভাড়া হিসেবে ১১০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। যারা স্বল্প শিক্ষিত আছে তাদের সেখানে ট্রেনিং করতে ভর্তি করবেন। চাকরী আমি দিব।
প্রধান অতিথি মেলার আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, মেলা থেকে ভবিষ্যতে আরও ভালো উদ্যোক্তা বেরিয়ে আসবে এবং এখান থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।
উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এস এম মান্নানের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মিজানুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ও খামারি মালিক মো. আক্কাস হোসেন ও ডেইরি ফার্মস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী কামরুল হোসেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available