কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের কাহারোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহ এক জনের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রচার করে থানা পুলিশকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
১৯ মার্চ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুকুল ইসলাম । তিনি বলেন, আমাকে সহ কাহারোল থানার এস আই ওহাবের বিরুদ্ধে এম আকবর নামে একটি ফেসবুক আইডির মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে এতে থানা পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট যার কোন ভিত্তি নেই। কাহারোল থানার মানুষ বিভ্রান্ত হবেন না।
এর আগে শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ নাশকতাকারী সন্দেহে ১৩ মাইল এলাকার কায়ুম উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন (৩৫) কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানাতে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে রুহুল আমিন বলেন, কয়েকদিন থেকেই আমি লক্ষ্য করছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে থানা পুলিশ আমার কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে এম আকবর নামে ফেসবুক আইডি পোস্ট করে আমার সম্মানহানি করেছে। সেই সাথে থানা পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
তিনি আরও বলেন, কান্তনগর মন্দির থেকে রাজনৈতিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যাচাই-বাছাই করার জন্য থানায় নিয়ে এসে নারী ডেস্ক অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং কোন ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত না থাকায় আমাকে পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, থানায় থাকা অবস্থায় তার অগোচরে সাংবাদিক পরিচয় এক ব্যক্তির ছবি এবং ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সেখানে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুকুল ইসলাম বলেন, রুহুল আমিনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। টাকা নিয়ে একদিন পর ছেড়ে দেওয়া বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। থানা প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রী মহল কাজ করছে । আমাদের অভিযান চলমান আছে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available