নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হন ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ত্যাগের পরপরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ আরও বিশ (২০) জন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেওয়ার পরপর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দেশে কোনো রকম অবৈধ উপায়ে চাঁদাবাজি ও চাঁদা আদায় করতে গেলে প্রতিহত করার জন্য। এরই মধ্য বর্তমান প্রধান বিরোধীদল জাতীয়বাদী দল বিএনপির শীর্ষ নেতারা ও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করলে স্থানীয় সেনাবাহিনীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদা না পেয়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় গোপালপুর ইউনিয়নের একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আলহাজ মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এলাকার একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমার কাছে আট লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এক পর্যায়ে আমার প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন এবং প্রতিষ্ঠানের গেটে চাঁদাবাজরা তালা ঝুলিয়ে দেন। মালামাল বহনকারী বেশ কয়েকটি পরিবহণ রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। সরাসরি এবং ফোন কলের মাধ্যমে এই চাঁদার টাকা দাবি করা হয়।
অপর দিক থেকে চাঁদাবাজদের ফোন কল এ বলতে শোনা যায়, মো. মোজাফ্ফর হোসেন শীর্ষ সন্ত্রাসী রওশন প্রামানিক কে প্রশ্ন করেন। আমার প্রতিষ্ঠান কেন চলতে দিচ্ছো না? আমার প্রতিষ্ঠানের মাল কেন ফেলে দিচ্ছো? এবং আমার প্রতিষ্ঠানের মহিলা কর্মচারীসহ সকল কর্মচারীকে অকথ্য ভাষায় কেন বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছো?
প্রতিউত্তরে শীর্ষ সন্ত্রাসী রওশন বলেন , আট লক্ষ টাকা দিলেই এই ধরনের সকল পেরেশানিমূলক কার্যক্রম আমরা বন্ধ করে দেব! এ ঘটনায় ২৭ আগস্ট তারিখে উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরির কর্ণধার আলহাজ মো. মোজাফফর হোসেন।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শফিউল আজম খানের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। খুব দ্রুত ঘটনার তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এই ধরনের কার্যক্রম আমার উপজেলায় অনেকগুলোই ঘটছে। তবে আমাদের সাথে সাথে আপনাদের সাংবাদিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। যদি আপনারা এগিয়ে আসেন তাহলে আপনারা এবং আমরা সবাই মিলে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হব। অভিযোগের ভিত্তিতে খুব দ্রুত ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন ইউএনও মহোদয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available