কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের জমিতে বাড়ছে লবনাক্ততা। ফলে সাধারণ জাতের ধানের উৎপাদনও কমছে দিনদিন। আবার লবণ সহিষ্ণু ধান চাষের সুযোগও নেই সব কৃষকের। তবে বসে নেই কৃষকরা, লবণাক্ত জমিতেই করছেন কলা চাষ। কম খরচে লাভও হচ্ছে অধিক। রমজান মাসের কলার চাহিদা একদিকে যেমন মিটাচ্ছেন অন্যদিকে অর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন তিনি ।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ইয়াকুব খান ১৫ একর জমি নিয়ে বিপাকেই পড়েছিলেন অনেক বছর ধরে। এই জমিতে এক সময় তিনি বছরে দুইবার ধান চাষ করতেন। সার-কিটনাশক বাড়িয়েও ফলন ধরে রাখতে পারেননি তিনি। এক সময় বুঝতে পারেন জমির লবণাক্ততাই এর জন্য দায়ী।
বছর পাচেক আগে তিনি ওই জমিতে কলা চাষ শুরু করেন। ১০ হাজার কলা গাছের এখন বিশাল বাগান তার। গেলো ৪ বছর ধরে ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে এই বাগান থেকে। জমিতে ধান না হওয়ার আক্ষেপ ঘুচেছে তার।
ইয়াকুবের এই বাগান দেখে কলাপাড়ার অনেকেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন । যাদের জমি নেই তারা বাড়ির আঙিনা বা পতিত জমিতেই শুরু করেছেন কলা চাষ। আর জমিওয়ালা কৃষকরা বাগান শুরু করেছেন এরই মধ্যে।
ইয়াকুব খান বলেন, অনেক বছর ধরে ধান চাষ করে লাভবান না হলেও কলা চাষে লাভবান হচ্ছি। তাছাড়াও আমার এখান থেকে কলা গাছ নিয়ে এই এলাকার অনেকেই ঝুঁকছেন কলা চাষে আমি সর্বোচ্চ সহায়তা করছি তাদের।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এম আর সাইফুল্লাহ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনাবৃষ্টি এবং জমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন কৃষি কর্মকর্তারাও। তারা লবণ সহিষ্ণু ধান চাষের উৎসাহ যেমন দিচ্ছেন তেমনি কলা চাষেও উদ্ধুদ্ধ করছেন কৃষকদের।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উপকূলীয় অঞ্চলসহ অনেক অঞ্চলেই এভাবে কলা চাষ করে জীবন-জীবিকা নিবার্হ করা সম্ভব বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তারা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও চাষাবাদের ধরণ পরিবর্তনে অনেকেই হচ্ছেন অধিকভাব লাভবান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available