সজীব আহমেদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে প্রকাশ্য চলছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রি। এসব জাল দিয়ে বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল-বিলে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। বর্ষার শুরুতেই এসব জাল বেচাকেনা বেড়ে গেছে এবং মাছ শিকারও শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আমতলী পৌরশহরে ১২ জুলাই বুধবার হাটের দিন প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে। শহরের পুরাতন বাজারের খালেদা কটনের মালিক মো. আব্দুল খালেক, সিলভার পট্রিতে আব্দুস সালাম ও আব্দুল মালেক প্রকাশ্যেই বিক্রি করছেন এ নিষিদ্ধ জাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার ক্ষেত্রে কারেন্ট জাল সবচেয়ে বড় হুমকি। এর সহজলভ্যতা বন্ধ করা না গেলে অচিরেই দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির আশঙ্কা রয়েছে।
মৎস্য মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে সরকারের জারি করা মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ৪ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কারেন্ট জালের উৎপাদন, বুনন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, বহন ও ব্যবহার করতে পারবেন না। আইন ভঙ্গকারী পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা ১ থেকে ২ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। এ ছাড়া মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৮৫ এর বিধি-১২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার মাছ ধরার ক্ষেত্রে ৪.৫ সেন্টিমিটার বা তার কম ব্যাস বা দৈর্ঘ্য ফাঁস বিশিষ্ট জাল বা অনুরূপ ফাঁস বিশিষ্ট অন্য যেকোনো জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সর্দার বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available