কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে সমুদ্র এখন উত্তাল। তাই নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরছে কয়েকশ ফিসিং ট্রলার। ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর বড় দুটি মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর ঘাটে দেখা যায় কয়েকশ ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৩ জুলাই রাতে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে নামেন জেলেরা। তবে ২ দিনের মাথায় সমুদ্র উত্তাল হলে মঙ্গলবার বিকেল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে বাধ্য হয় জেলেরা। এতে একদিকে লোকসান অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে মৎস্যজিবীরা।
আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেয়া যায়, স্থানীয় জেলেদের পাশাপাশি কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা, মংলা, বাসখালি,পাথরঘাটা,পারেরহাট,বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলেরা আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। চারপাশ জেলেদের পদচারণায় মুখর থাকলেও নেই মাছ বিক্রির হাঁকডাক।
এফবি এলমা ট্রলারের মালিক আবুল হোসেন কাজী সাংবাদিকদের বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে আমার ২ টি ট্রলার সমুদ্রে পাঠাতে ১৫ লাখ টাকা খচর হয়েছে। কিন্তু ২ দিনের মাথায় শূন্য হাতে জেলেরা তীরে ফিরে এসেছে। বছরের বেশিরভাগ সময় অবরোধ এবং বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে আমরা প্রতিবছর লোকসান গুনছি।
এফবি মোবারক ট্রলারের মাঝি আ. খালেক হাওলাদার জানান, আমরা সমুদ্রে যাওয়ার পরপরই সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। অনেক চেষ্টা করেও আমরা থাকতে পারিনি। তীরে চলে আসতে হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে বিনা সুদে ঋণের আবেদন করছি, তা না হলে আমাদের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানের জেলেরা এ বন্দরে আশ্রয় নিচ্ছেন। বছরে বেশ করেকবার আবহাওয়ার বৈরিতায় আমরা মৎস্য পেশা নিয়ে হুমকিতে আছি। তাই জেলেদের সহযোগিতায় সরকারের কাছে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের দাবি জানাচ্ছি।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাঝামাঝি অবস্থান করে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা কিছুটা বেড়ে দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। একইসঙ্গে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এলাকায় অবস্থানরত সকল মাছধরার ট্রলার ও নৌ-যানকে সাবধানে থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available