নুরুজ্জামান পাভেল, মেহেরপুর: মেহেরপুরে প্রতিবছর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অর্ধেকের বেশি পশু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে চলে যায়। জেলার বাণিজ্যিক ও পারিবারিক খামারে এবারও পশুর সংখ্যা চাহিদার চেয়ে দ্বিগুণ। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার প্রায় ২ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তু রয়েছে। কোরবানিযোগ্য এ পশু পরিচর্যায় বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে খামারিরা।
জানা যায়, মেহেরপুরে বাণিজ্যিক খামারের পাশাপাশি অসংখ্য পারিবারিক খামার রয়েছে। এ অঞ্চলের দরিদ্র কৃষকের বাড়িতে দু-একটি করে গরু, ছাগল, মহিষ কিংবা ভেড়া ভেড়া পালন করা হয়। সারা বছর এসব পশু পালনের পর এখন এসেছে কাঙ্খিত বিক্রির সময়। স্বপ্নের পশু বিক্রির টাকায় মিটবে পরিবারের চাহিদা। বাড়তি অর্থ দিয়ে আবারও নতুন পশু কিনবে তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, মেহেরপুর জেলায় ৪০০টি বাণিজ্যিক ও ২২ হাজার পারিবারিক খামার রয়েছে। এবছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি পশু। কোরবানিযোগ্য পশু হিসেবে ষাড়-বলদ-গাভী মিলিয়ে ৫৮ হাজার ৮৬৬টি গরু, ৫৯৫টি মহিষ, ১ লাখ ২৮ হাজার ১৬৯টি ছাগল এবং ২ হাজার ৮৯০টি ভেড়া রয়েছে। স্থানীয় কোরবানি পশুর চাহিদা আছে ৯০ হাজার ১১২টি। ফলে এবার জেলায় কোরবানির উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ১ লাখ ৪০৮টি। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি পশুর যোগান রয়েছে মেহেরপুরে, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানি পশুর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এদিকে জেলার বেশ কয়েকটি গরুর খামার ঘুরে দেখা গেছে, দেশিয় জাতের পাশাপাশি নেপালী, অস্ট্রেলিয়ান, ফিজিয়ান, হরিয়ানাসহ নানা জাতের গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। খামারীদের চোখে মুখে দেখা গেছে আনন্দ, আবার কারও কপালে চিন্তার ভাঁজ।
মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: সাইদুর রহমান জানান, কোরবানির জন্য এবার মেহেরপুর জেলার বাণিজ্যিকসহ পারিবারিকভাবে খামারে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ১ লাখের বেশি পশু রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব পশু বাজারজাত করা শুরু হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available