রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: রামপালের জমে উঠেছে উপজেলার একমাত্র ফয়লাহাট পশুর হাট। পশু আমদানি বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যাও। বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে বলে জানান হাট সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ফয়লাহাটের ইজারদার ও উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সী বোরহান উদ্দিন জেড জানান, হাটে প্রচুর পশু আমদানি হয়েছে। ক্রেতারও বেশ সমাগম ঘটেছে। আশা করছি বেচা-বিক্রি ভালো হবে।
জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় মোট ১১ হাজার ৫৫২টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এবার উপজেলায় পশুর চাহিদা মোট ১১ হাজার ২২০টি। সেখানে উদ্বৃত্ত রয়েছে ২৩২টি পশু।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার জয়দেব কুমার সিংহ জানান, আমাদের এ উপজেলায় পশু কেনা-বেচার হাট একমাত্র ফয়লাহাট। সকল মানুষ কোরবানির জন্য এই ফয়লাহাটেই আসেন। আমরা মেডিকাল টিম নিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারী করছি। যাতে ক্রেতাসাধারণ ভালো মানের পশু ক্রয় করতে পারেন। কেউ যাতে কোন রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করতে না পারে, তার জন্য আমরা নজরদারী বৃদ্ধি করেছি।
তিনি আরও জানান, এবার ষাঁড় ১ হাজার ৬৭২টি, বলদ ৪৫৬টি, গাভী ১ হাজার ৯টিসহ মোট ৩ হাজার ৩৫৫টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। বয়েছে ৭ হাজার ৭৮৬টি ছাগল ও ৪১১টি ভেড়া।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, কুরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয়ে যাতে কেউ প্রতারিত না হন, বিক্রেতারা তাদের বিক্রয়লব্ধ টাকা-পয়সা নিরাপদে নিয়ে যাতে গন্তব্যে ফিরে যেতে পারেন; এ জন্যে আমাদের একাধিক টিম কাজ সার্বক্ষণিক নজরদারী করছে। পুরো পশুর হাটটি ও এর আশপাশেও ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে। পশু বিক্রির টাকা নিয়ে গন্তব্যে যেতে কারেও কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available