পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অপরাধে আনন্দ চন্দ্র রায় (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৩ আগস্ট রবিবার রাতে উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মালাদাম বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের লাঙ্গলগাঁও এলাকার বাসিন্দা রাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে আনন্দকে প্রধান আসামী করে দুইজনের নামে রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অপরাধে একটি মামলাটি দায়ের করেন। ১৪ আগস্ট সোমবার বিকেলে তাকে বিচারক অলরাম কার্জীর আদালতের তোলা হয়। মামলা শুনানী শেষে বিচারক সন্ধ্যায় তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
আটক আনন্দ চন্দ্র রায়ের বাড়ি সদর উপজেলায়। তিনি মাগুড়া ইউনিয়নের কালেশ্বর গোয়ালপাড়া এলাকার দেবারু বর্মনের ছেলে। আনন্দ মাগুড়া ইউনিয়নের মালাদাম বাজারে কম্পিউটারের মাধ্যেমে মোবাইলে (মেমোরি কার্ডে) গান, সিনেমা আপলোডের দোকান চালাতো।
মামলার অপর আসামী উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের নলেহাপাড়া এলাকার বৈশাখু চন্দ্র রায়ের ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় (৩০)।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মালাদাম বাজারে গত ৬ মাস আগে মামলার দ্বিতীয় আসামী সুরেশ চন্দ্র রায়ের কাছ থেকে একটি দোকান ভাড়া নেন আনন্দ। পরে ওই দোকানে তিনি কম্পিউটারের মাধ্যেমে মোবাইলে (মেমোরি কার্ডে) গান, সিনেমা আপলোড করে আসছিলেন। গত ১৫ দিন আগে আনন্দ ও সুরেশ পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা ও বিনষ্ট করার উদ্যেশে ওই দোকানের আড়ার উপরে একটি কাঠের সেলে নিয়ে রাখেন।
পরে রবিবার বিকেলে মালাদাম বাজারে অবস্থান করা মানুষের মাঝে বিষয়টি জানাজানি হলে আনন্দের কাছে ঘটনা জানতে চান। এ নিয়ে আনন্দ বলেন, তোমাদের ধর্মের কোরআন রেখেছি তো কী হয়েছে। সেই সাথে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় সকলকে গালিগালাজ করেন। পরে স্থানীয়রা মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায় ও ধাক্কামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলালকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। বিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে হাজারো মানুষ বাজারে ভীড় করেন। পরে সদর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ আনন্দকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মালাদাম বাজারে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় রাজিদুল ইসলাম নামে স্থানীয় একজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। তবে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available