চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এবিএম রাশেদুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। এ সময় তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালা ভেঙে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন এবং পুনরায় ক্লাস শুরুর দাবি জানান।
এর আগে গত কয়েকদিন ধরেই ক্যাম্পাসে ভিসির নিয়মিত উপস্থিতি, স্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ ও হোস্টেল সুবিধাসহ এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এবিএম রাশেদুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরাও। আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি বিশ্ববিদ্যালয় অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
২৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের বড় ইন্দারা মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে সমাবেশ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ইন্দারা মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। পাশাপাশি এক্সিম ব্যাংক ও ব্যাংকের এটিএম বুথের কার্যক্রমও বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালা ভেঙে ক্লাস শুরুর দাবি জানান। মানববন্ধন কর্মসূচিতে ভিসির পদত্যাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর থেকে সার্বক্ষণিক ভিসি না থাকা, স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকা, পরিমাণমতো ক্লাস রুম না থাকা, যথেষ্ট ব্যবহারিক ক্লাসরুম ও ইকুইপমেন্ট না থাকা, স্থায়ী শিক্ষক না থাকা, হোস্টেল সুবিধা না থাকায় ছাত্রদের লেখাপড়া দীর্ঘ দিন ধরে ব্যাহত হয়ে আসছে। বিশেষ করে বর্তমান ভিসি ৪ বছরে ৩ থেকে ৪ বার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। তিনি নিয়মিত এবং সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেক দাবি-দাওয়া উপেক্ষিত থেকে গেছে।
শিক্ষকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বছরে এক-দুই বার আসতেন ভিসি ড. এবিএম রাশেদুল হাসান। এমনকি তার নিজেরই নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। বর্তমানে ভিসি পর্তুগালে অবস্থান করছে। নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষা সচিবকে জানিয়ে বিদেশে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ও ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়নি ঠিকমতো। এতো অনিয়ম দুর্নীতি করার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি তাকে বহাল রাখতে নানারকম পাঁয়তারা করছে। আমরা এমন কুলাঙ্গারকে ভিসি হিসেবে দেখতে চাই না। তিনি ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদেরকেও প্রবেশ করতে দেননি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available