নিজস্ব প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে পিছিয়ে নেই কৃষি ও কৃষক। খামারি অ্যাপের মাধ্যমে প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে এবার দেশের কৃষিতে। খামারিরা এই মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করলে একদিকে যেমন ফসলের উৎপাদন বাড়বে, সাথে খরচও কমবে।
অ্যাপ ব্যবহারে কৃষকরা জানতে পারবে, কোন জমিতে কোন সময়ে কোন ধরনের ফসল হবে। ফসল ভেদে সার প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে অতি সহজেই কৃষকরা এই অ্যাপের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন।
১৪ মে মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চফলনশীল জাতের ধান কর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকার খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, যেকোনো মৌজা অনুযায়ী একটি প্লট বা জমিতে কী ধরনের ফসল হবে, কতটুকু সার, বীজ লাগবে সব তথ্য খামারি অ্যাপে পাওয়া যাবে। খামারি অ্যাপ ব্যবহার করলে ধান চাষে সারের পরিমিত ব্যবহার করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা ইউরিয়া ও অন্যান্য সার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ব্যবহার করেন। এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়। তাছাড়া জমিতে বেশি সার দিলেই বেশি ফলন হয়, এটা ভুল ধারণা। জমির পরিমাপ অনুযায়ী যতটুকু সার প্রয়োজন, ততটুকুই দিতে হবে। এক্ষেত্রে খামারি অ্যাপ কৃষকদের সার্বিকভাবে সহায়তা করবে। এ সময় উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান (অগ্রনী-৭) প্রদর্শনী ও পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তির প্রদর্শনী ট্রায়াল দেওয়া হয়। এছাড়া ব্রি ধান (অগ্রনী-৭) এর নমুনা কর্তন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধা সদর আসনের সংসদ সদস্য শাহ্ সারোয়ার কবির এমপি। এতে সভাপতিত্ব করেন রংপুর (ডিএই) এর অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল। এছাড়া অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, জনপ্রতিনিধি, কৃষক-কৃষাণী, কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের ঊদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available