স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে সরকারের ২ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে প্রকৌশলীর রিসোর্ট-এগ্রো ফার্ম থেকে। সরকারের প্রায় ছয়কোটি টাকা মূল্যের ৩ একর খাস জমি দখল গড়ে গ্রিন পেরাডাইস রিসোর্ট ও আহামদিয়া এগ্রোফার্ম গড়ে তুলে ছিলেন প্রকৌশলী তয়বুর রহমান। অভিযুক্ত তৈয়বুর রহমান শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজমাওনা গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী।
খাস জমি দখল করে রিসোর্ট ও খামার গড়ার এমন অভিযোগ উঠলে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি আমলে নিয়ে শ্রীপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানাকে রেকর্ডপত্র যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর পর পরই স্থানীয় ভূমি প্রশাসন মাঠে নামে।
মাওনা ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহাব জানান, রেকর্ড পত্র যাচাই করে উপজেলা সার্ভেয়ার আল মামুনকে নিয়ে জমিতে সরকারি সত্ব ১নং খাস খতিয়ানের জমি পাওয়া যায়। এরপর অভিযুক্ত প্রকৌশলীকে উপজেলা ভূমি অফিসে ডাকা হয় কোন মার্লিকানা মুলে জমি ভোগদখল করছেন তার কৈফিয়তে।
তিনি জানান, নিজ মাওনা গ্রামে ৫৩৩, ৫৭৬, ৫৪৪ ও ৫৬৬ নম্বর দাগে রয়েছে ১০.১০ একর খাস জমি। বিপুল পরিমাণ সরকারি খাস জমি জবরদখলে বিষয়ে তিনি বলেন, জবর দখল কারীদের মধ্যে প্রকৌশলী তৈয়বুর রহমানের অবৈধ দখলে থাকা প্রায় দুই একর খাস জমি শনাক্ত করা হয়েছে। উপজেলার নিজমাওনা গ্রামে ৩নং গাজীপুর মৌজায় সি.এস ও এস.এ ৫৩৩ ও ৫৭৬নং দাগে আর.এস ১নং খতিয়ানে সরকারি খাস জমি রয়েছে। যার আর.এস দাগ নম্বর ৮৪১৫, ৮৪৮৫, ৮৪৮৬, ৮৪৮৭, ৮৪৯২ ও ৮৪৯৩ থেকে ১.৯৮ একর খাস জমি উদ্ধার করে সরকারি সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে উপজেলা ভূমি অফিস।
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানা বলেন, নিজমাওনা গ্রামে প্রকৌশলী তয়বুরের পাকা সীমানা প্রাচীরের ভিতরে রিসোর্ট ও খামার থেকে দুই একর সরকারি খাস ভূমি শনাক্ত করে উদ্ধার করা হয়েছে। জবর দখলকারী প্রকৌশলীকে দ্রুত জমি ছাড়তে নোটিশ করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available