লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারীতে এক কিশোরের দায়ের কোপে অপর এক কিশোর নিহত হয়েছে। নিখোঁজের দুইদিন পর উপজেলার রূহানীনগর কান্তেশ্বর পাড়ার একটি ডোবা থেকে ৬ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাহিম ফরহাদ (১৬) নামে নিহত হওয়া কিশোরের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত মধু রায় (১৭) নামের অপর কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র (দা) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ফাহিম ফরহাদ উপজেলার আরাজি দেওডোবা এলাকার শাজাহান মিয়ার ছেলে ও একই এলাকার ওসমান গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। হত্যার দায়ে অভিযুক্ত মধু রায় রুহানীনগর এলাকার সুভাষ রায়ের ছেলে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মে মঙ্গলবার থেকে ফরহাদ নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার পর ফরহাদের পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মোটরবাইকে করে মধু রায় নামের ওই কিশোরকে ফরহাদ নিজ এলাকা দেওডোবা থেকে মধুর বাড়ির এলাকা অর্থাৎ রূহানীনগর পৌঁছিয়ে দিতে আসে। ওই এলাকার একটি ফাঁকা স্থানে বসে তারা মাদকও সেবন করে। সেসময় তাদের প্রথমে গাঁজা সেবন ও পরে মোটরবাইকের লেনদেন নিয়ে ঝগড়াবিবাদ হয়। এক পর্যায়ে মধু একটি ধারালো দা দিয়ে ফরহাদকে উপর্যুপরি কোপ দেয়। পরে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে প্রথমে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। পরে সেখান থেকে সেই বস্তা টেনেহিঁচড়ে ডোবায় নিয়ে এসে ফেলে দেয়।
ফরহাদ নিখোঁজের ঘটনা তদন্তের পর আদিতমারী থানা পুলিশ মধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মধু হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ তার বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুসারে আজ বৃহস্পতিবার ডোবা থেকে ফরহাদের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অপরদিকে ফরহাদের পরিবারের অভিযোগ, ফরহাদ মধুর কাছে পুরাতন মোটরবাইক কেনে। সেই বাইকের লেনদেনের জের ধরেই ফরহাদকে হত্যা করেছে মধু।
আদিতমারী থানার এসআই ফারুক হোসেন বলেন, ‘আসামিকে গ্রেফতার করে আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। এছাড়াও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছি। বাকি আইনি প্রক্রিয়া সিনিয়র কর্মকর্তারা সম্পন্ন করছেন।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available