সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউপির জিরুয়া ৪নং ওয়ার্ডের ইউনুস ডিলার বাড়িতে সেফটিক ট্রাঙ্কের জন্য খুড়া একটি মাটির গর্তে আটকা পড়া বিরল প্রজাতির (বিলুপ্ত-প্রায়) দুইটি গন্ধগোকুলকে ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। পরে প্রাণী ২টিকে স্থানীয় একটি কবরস্থানের জঙ্গলে অবমুক্ত করে সেনবাগ উপজেলা বনবিভাগ।
২ মার্চ শনিবার দুপুরে সেনবাগ উপজেলা বন কর্মকতা সামছুউদ্দিনের উপস্থিতিতে ওই গন্ধগোকুল দুইটিকে অবমুক্ত করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার ডমুরুয়া ইউপির জিরুয়া ইউনুস ডিলারের বাড়ির মো. মিজানুর রহমান তার বসতঘরের পাশ্বে সিপটিক ট্যাঙ্ক নির্মাণের জন্য একটির গর্ত খুড়ে। এরপর শনিবার রাতের কোন এক সময় বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল যাকে স্থানীয় ভাষায় বাগডাস, তাল খাটাশ, ভোন্দর, লেনজা, সাইরেল বা গাছ খাটাশ নামে পরিচিত ওই প্রাণী দুইটি গর্তে পড়ে আটকে যায় । এরপর সকালে বাড়ির লোকজন প্রাণী দুইটিকে দেখে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ ফারুক হোসেনের মাধ্যমে বন বিভাগে খবর দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা বন কর্মকতা সামছুউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১২ ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিক গন্ধগোকুল দুইটি উদ্ধার করে স্থানীয় কবরস্থানের জঙ্গলে অবমুক্ত করে। এ সময় উদ্ধার প্রাণী দুইটিকে এক নজর দেখতে ওই স্থানে বিপুল সংখ্যক উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।
উপজেলা বন কর্মকর্তা সামছুউদ্দিন জানান, গন্ধগোকুল বর্তমানে অরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিবেচনায় পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় উঠে এসেছে এই প্রাণীটি।
এছাড়া, বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। এটি পুরোনো গাছ, বন-জঙ্গলে বসবাস করে। এগুলির খাদ্য তালিকায় রয়েছে, গৃহপালিত হাঁস-মুরগি, কবুতর, পাখি, সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ও পোকামাকড় শিকার করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available