বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর বদলগাছীতে এবার গম বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি গমের চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মাঠ জুড়ে দেখা যাচ্ছে গমের সবুজ পাতার সমারোহ। স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় এই রবি শস্য চাষের দিকে আবারও ঝুঁকছেন কৃষকরা।
গম-চাষিরা আশা করছেন, এবার প্রতি বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৫ মণ গমের ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সাথে বাজারে বেশি দাম পাওয়ার প্রত্যাশাও রয়েছে তাদের। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ৮ টি ইউনিয়নের মোট ৭শ' ৭০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ করা হয়েছে। কৃষকরা আমন ধান ঘরে তোলার পরে আলু সরিষার আবাদ কমিয়ে দিয়ে গম চাষ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, গম চাষের সমারোহ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে গম পাকা শুরু করবে। অথচ কালের বিবর্তনে দিন দিন বিলুপ্তির পথে যেতে বসেছিল এই অঞ্চলের গম চাষ। এক সময় বদলগাছী উপজেলায় প্রায় প্রতিটি মাঠে ব্যাপক হারে গমের চাষ হতো। হারিয়ে যেতে বসা গমের চাষাবাদ আবারও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে এই উপজেলার চাহিদার তুলনায় বেশি গমের আবাদ হচ্ছে।
মিঠাপুর ইউনিয়নের বউলা পাড়ার মোজাম্মেল উদ্দিন বলেন, গম চাষ করে গত বছর ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর ৩ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। ৪৫ মণ গম পাব আশা করছি। মিঠাপুর গ্রামের আরেক গম চাষি আইজুল হোসেন বলেন, এ বছর সরিষা চাষ না করে সেই জমিতে গম চাষ করেছি। কম খরচে গমের চাষ ভালো হয়েছে। এবার গম চাষে তেমন রোগবালাই নাই।
বদলগাছী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, আগামীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে এ এলাকায় গমের বাম্পার ফলন হবে। আটার চাহিদা মেটাতে এ অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। আমরা চাষিদেরকে আরও বেশি বেশি গমের চাষ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি। আশা করছি, আগামী বছরে এ উপজেলায় প্রচুর গমের আবাদ হবে। এছাড়া গম চাষে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, সার, সেচ ও উন্নতমানের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available