কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা চান্দিনায় এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। একাধিক মামলার আসামি ওই যুবলীগ নেতা অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিলেন।
তাই ওই গৃহবধূর স্বামী তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে হত্যার কারণ এখনও নিশ্চিত হতে না পারায় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
৪ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে জেলার চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গড়ামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম তানভীর আহমেদ ভুঁইয়া (৩২)। তিনি একই ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তানভীর বাড়েরা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে। আটক ব্যক্তির নাম সেলিম মিয়া।
অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূর অভিযোগ, রাত দুইটায় তানভীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় স্বামীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। তানভীরকে পেটানোর পর অচেতন ও এক পর্যায়ে মারা যায়।
বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভুঁইয়া জানান, ঘটনাস্থলে গিয়েছি। হত্যাকাণ্ডটি সন্দেহজনক। ঘটনাস্থলটি এতোই ঘনবসতিপূর্ণ যে, ওই বাড়িতে কোনো উঠান নেই। এতো বড় ঘটনাটি বাড়ির বা পাশের মানুষ জানবে না সেটা হতে পারে না। স্থানীয়রা মুখ খুলছে না।
এদিকে নিহত তানভীরের মা নিলুফা বেগমের দাবি, ছেলে পরিকল্পিত হত্যার শিকার। ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয়। আমি হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলেকে শত্রুতাবশত তারা হত্যা করেছে বলেও দাবি করছেন তিনি।
চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন দত্ত জানান, মরদেহে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে হত্যার কারণ এখনও নিশ্চিত নয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিমকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
উল্লেখ্য, তানভীরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available