নিজস্ব প্রতিবেদক: তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনার বিকাশের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ থেকে শুরু হলো গ্রামীণফোনের স্টার্টআপ ইনোভেশন প্ল্যাটফর্ম জিপি এক্সিলারেটর ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ বুটক্যাম্প। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী তরুণদের দক্ষতা অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে এই বুটক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। বুটক্যাম্পে প্রায় ৩০০ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন। দেশব্যাপী ২০টি অঞ্চলে ধাপে ধাপে এই রিজিওনাল বুটক্যাম্পের আয়োজন করা হবে।
২৭ এপ্রিল শনিবার ময়মনসিংহ শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজুল আলম মাসুম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়নের ডিডি হারুন অর রশিদ, ময়মনসিংহের উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি লুসী আক্তারী মহল, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার এবং ময়মনসিংহ এরিয়ার আমরা পারি ও কমিউনিটি বিল্ডার- জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজা আক্তার রানী।
এসময় স্থানীয় সমাজ সংগঠক, স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা, জিপি এক্সিলারেটর (জিপিএ) সদস্য, সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষকগণসহ খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ও অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গ্রামীণফোনের জিপি এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম লিড মুহাম্মদ সোহেল রানা।
অনুষ্ঠানটি দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। দিনের প্রথম ভাগে ডিজাইন থিংকিংয়ের কলাকৌশল অর্থাৎ ডিজাইন থিংকিং কি, এর ধাপগুলো কি কি, প্রোডাক্ট টেস্টিং, মার্কেট রিসার্চ কীভাবে করতে হয়, ফিন্যানশিয়াল মডেলিং কিভাবে করতে হয়, ইনভেস্টমেন্টের জন্য পিচ ডেক কীভাবে বানাতে হয়; এই বিষয়গুলোর উপরে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বুটক্যাম্পের চূড়ান্ত পর্ব অর্থাৎ দ্বিতীয় ভাগে আইডিয়া পিচিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন আইডিয়া উপস্থাপন করা হয়। যার মধ্যে স্থানীয় সমস্যা সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্বারূপ করা হয়।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের এনভায়রনমেন্ট, সোশ্যাল অ্যান্ড গভার্নেন্স হেড ফারহানা ইসলাম বলেন, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্মার্ট ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে গ্রামীণফোন সংকল্পবদ্ধ। এই ধারাবাহিকতায় দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে জিপি এক্সেলারেটরের রিজিওনাল বুটক্যাম্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, তরুণরাই দেশের চালিকাশক্তি। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তরুণদের মেধা বিকাশ ও দক্ষতার বিকল্প নেই। এই প্রোগ্রাম থেকে তরুণরা প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করে তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে পারবেন, যা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখবে বলে আমরা মনে করি।
২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে দেশের স্টার্টআপ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে জিপি এক্সিলারেটর। এটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লক্ষ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। একইসাথে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে জিপি এক্সিলারেটর। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড জিপি এক্সিলারেটরের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available