জসিম চৌধুরী নিলয়: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দুই’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঠান্ডা কালীর মেলা শেষ হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে প্রতি বছরই মাঘ মাসের প্রথম দিন (১ তারিখ) উপজেলার মোগরা গ্রামের মাঠে বিশাল এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটি দক্ষিণ কুমিল্লার সবচেয়ে বড় মেলা।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখ লাখ মানুষ হরেক রকম পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এ মেলায় ভীড় জমায়। ঐতিহ্যবাহী ঠান্ডা কালি বাড়ির একদিনের কৃষিমেলা ব্যাপক আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এ মেলায় প্রায় ১২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৫ জানুয়ারি সোমবার পুরোদিন শেষে রাত অবধি ৪/৫ হাজার অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ দোকানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলে। মেলাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের সর্বত্র শিশু-কিশোর, যুবক ও বয়োবৃদ্ধরা উৎসবে মেতে ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বড় মাছ ও মিষ্টি দোকানগুলোতে অস্বাভাবিক ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। একেকটি বড় মাছ ১৫/২০ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কাঠের সামগ্রী ফর্নিচার, কৃষি সরাঞ্জামাদি, খেলনা শিশু সামগ্রীসহ নিত্য প্রযোজনীয় সব ধরনের পণ্য এ বাজারে ক্রয়-বিক্রয হচ্ছে দেদারছে।
বাঁশের বাঁশি বিক্রেতা হেলাল উদ্দিন জানান, দুপুরের পূর্বেই ২৭ হাজার বাশিঁ বিক্রি হয়ে যায়। গ্রামে গ্রামে শিশ- কিশোরদের হাত হাতে বাঁশি খেলনার সুরে মুখরিত রাস্তাঘাট।
স্থানীয়রা জানায়, বয়স্কদের হাতে মোয়া-মুড়ি ট্রপি, মিষ্টির প্যাকেট, শোভা পাচ্ছে। বড় মাছ আর বাহারি সবজি নিয়ে হাটছেন কেউ কেউ। ট্রেন, বাস, থ্রিহুইলার, সাইকেল, রিকশা এবং দল বেধেঁ পায়ে হেটে হাজার হাজার মানুষজন বাজার শেষে বাড়ি ফিরছেন। তাদের চোখে মুখে এ অন্য রকম আনন্দ। কিছু অসাধু ব্যবসায়ি জুয়ার আসর বসিয়ে সৌন্দর্যে হানির চেষ্টা চালায়।
নাঙ্গলকোটে থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সতর্ক থাকায় অসাধু ব্যবসায়ি জুয়ার আসর বসাতে পারেনি। তবে, দূর গ্রামে জুয়াড়িরা জুয়ার আসর বসায়তে পারে। নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ দু’দিন পূর্ব হতে ব্যবসায়িদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ এ বাজারে ফেনী-নোয়াখালী, চট্টগ্রাম-সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার লাখ লাখ জনতা প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে মেলায় অংশ নেয়। প্রতি বছর বাংলা সনের পহেলা মাঘ এ মেলার আসর বসে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available