ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সদরপুরে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ভূমি সরকারি কর্মকর্তা সালমা আক্তার। ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে খাজনা দেওয়া, নামজারি করা, পর্চা তোলা থেকে শুরু করে যে কোনো কাজ করতে গেলে তাকে ঘুষ না দিলে কোনো কাজই হয় না।
এলাকাবাসী বলেন, চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সালমা আক্তারের মুখের ভাষা অত্যাধিক খারাপ হওয়ায় তার সাথে কথা বলতেও দ্বিধাবোধ করেন অনেকে। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকার মানুষকে সব সময় দেন নানান হুমকি ধামকি।
তারা আরও জানান, ওই ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসলে পদে পদে অফিসের কর্মকর্তাদের দাবির মুখে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। আর দাবি মেনে টাকা দিতে না চাইলে পড়তে হয় বিভিন্ন ঝামেলায়।
এই অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা বলেন, টাকা বেশি দেওয়ার বিষয়টা তাদের কাছে এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সহজে কাজ করিয়ে নিতে বাধ্য হয়েই টাকা দেন তারা।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতি শতক জমির খাজনা বছরে ১০ টাকা আর ই-নামজারির ক্ষেত্রে সর্বসাকুল্যে খরচ হয় ১১৭০ টাকা। কিন্তু এই সুবিধা পেতে জমির মালিকদের গুনতে হয় ৫ থেকে ১০ গুণ টাকা।
যেকোনো কাজে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি জরুরি কাজ দেখিয়ে অফিস ত্যাগ করেন। পরবর্তী দিন গিয়ে দেখা যায় তার অফিস রুমে ঝুলছে তালা।
সালমার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ জানিয়ে উপজেলা ভূমি অফিসে একাধিক লিখিত অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে এলাকাবাসী। এসব অভিযোগের বিষয় খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিম।
শুধুমাত্র চরবিষ্ণুপুর ভূমি অফিসই নয়, এ উপজেলার প্রতিটি ভূমি অফিসের বিরুদ্ধেই রয়েছে এমন অসংখ্য অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিটি ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করে সঠিক সেবা নিশ্চিত করা হোক।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available