রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার কাছে বিভিন্ন কাজে টাকা দাবি ও পদ থেকে সরিয়ে অন্য শিক্ষককে নিয়োগ দিতে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
আসমা ইসলাম নামে ওই শিক্ষিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হিন্দোল বারী তাঁর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের জঙ্গল সরফভাটা হাজী ছবিউল খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসমা ইসলাম ২০১৩ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গেজেটে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর তিনি জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে সার্ভিস বুকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতিদান ও এসিআর প্রদানের জন্য বারবার আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনের কোনো সাড়া না পাওয়ায় তিনি উচ্চ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি চলমান রয়েছে।
অভিযোগকারী শিক্ষক আসমা ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. হিন্দোল বারী ও সহকারী শিক্ষা অফিসার প্রবীর কুমার চৌধুরী অফিসে ডেকে আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। আমাকে স্পষ্টভাবে বলেন, স্কুলের প্রতিটি কাজে অর্থ দিতে হবে। অর্থ দিতে রাজি না হওয়ায় স্কুলের এই অর্থ বছরের ভাউচার স্লিপ বাতিল করেন। আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, অতি শীঘ্রই উক্ত স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেব, ততদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
জানতে চাইলে এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হিন্দোল বারী বলেন, ‘আসমা ইসলাম প্রধান শিক্ষক নন, সহকারী শিক্ষক। স্কুলের অর্থ বছরের ভাউচার পাশ করার জন্য আমার কাছে এলে এটি সংশোধন করতে বলায় তিনি বিভিন্ন জায়গায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। তার কাছে আমি কোনো আর্থিক অনুদান কিংবা সুবিধা নিই নাই। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available