রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ১১ জনের। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২ জনকে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্র থেকে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১ সপ্তাহে রাঙ্গুনিয়ায় ১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন, রোয়াজারহাটের আশা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২ জন ও চন্দ্রঘোনা মা- মনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩ জন ও চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেব প্রসাদ চক্রবর্ত্তী বলেন, হাসপাতালে শনাক্ত ৫ জন রোগীর মধ্যে একজনের অবস্থা জটিল হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, দুজন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুজন রোগী আলাদা ডেঙ্গু কর্ণারে ভর্তি আছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একমাত্র সমাধান এডিশ মশা নিয়ন্ত্রণ। চিকিৎসকরা মনে করেন, বর্ষার শুরুতেই চলমান পরিস্থিতি আতঙ্কজনক। এখনই নিয়ন্ত্রণে বিশেষ করে এডিশ মশা ধ্বংসে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। চিকিৎসকরা বলছেন, দেরিতে হাসপাতালে আসার কারনে শারীরিক জটিলতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুতই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। যেসব উপসর্গ থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে তা হচ্ছে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা কিংবা গা-হাত-পায়ে ব্যথা, প্রচণ্ড জ্বর, গায়ে র্যাশ, বমি আর মাথাব্যথা, এই সবকটি উপসর্গ থাকলে বুঝতে হবে আপনার ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও ডেঙ্গুর আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে যার মধ্যে মুখ আর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তক্ষরণ, রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়া, শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ হওয়া, চামড়ায় কালো কালো ছোপ দেখা দেয়া এবং পেটে অসম্ভব ব্যাথা হওয়া।
এদিকে রাঙ্গুনিয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, একই সাথে বাড়ছে আতঙ্ক। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা থেকে কোন বাড়তি উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় ও বাসা-বাড়ির আশপাশে সারা বছরই ফগার মেশিনে ওষুধ ছেটানোর কার্যক্রম চলে। ডেঙ্গুর প্রকোপে সে কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহাবুব হোসেন বলেন, মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম আমার এলাকায় চোখে পড়েনি কখনো। চারিদিকে ডেঙ্গুর যে প্রকোপ তাতে মশার ওষুধ ছেটানোর কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available