নিজস্ব প্রতিবেদক: এখন থেকে সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। তবে কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
এমন বিধান রেখে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে ২৩ জুলাই মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এদিন রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ সময় জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি চাকরিতে ২০টি গ্রেড আছে। এর মধ্যে সরাসরি নিয়োগ হয় মূলত নবম থেকে ২০তম গ্রেডে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত চাকরিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। ওই বছর কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে ওই কোটা বাতিল করা হয়।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ (যেমন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান) এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সব গ্রেডে সরাসরি নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ। বাকি পদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা থাকবে। তবে নির্ধারিত এই কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্য পদও সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।
এ প্রজ্ঞাপন জারির মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হলো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি এবং বিশ্বাস করি, কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোটার সংস্কার চাওয়া হয়েছিল, সেই আন্দোলনের মাধ্যমে যে বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা দূরীকরণ করা হয়েছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, চাকরিতে কোটা সংস্কারের বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় প্রতিপালন করা হয়েছে। সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় এক সদস্যবিশিষ্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় সাধারণ ছাত্রছাত্রী যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার বিষয়ে সরকার দেখভাল করবে।
যত তাড়াতাড়ি শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, মামলার তথ্যাদি যদি তাঁরা (আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী) দেন, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নামে যদি কোনো মামলা হয়ে থাকে, তাহলে সেগুলো অবশ্যই দেখা হবে। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং সব ছাত্রছাত্রীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার পরিবেশ নিশ্চিত করবে সরকার।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available