খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের হিজলাকর গ্রামে শাপলা কবিরাজ নামের এক নারী ঝাড়ফুঁক, পানিপড়ার মাধ্যমে সপ্তাহে ২ দিন শত শত মানুষের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে চিকিৎসা বন্ধ হলেও কবিরাজের বাড়িতে কমছে না রোগীর ভিড়।
৪ এপ্রিল শনিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় কয়েক জেলার শতাধিক মানুষ অবস্থান করছেন শাপলার বাড়িতে। শাপলা চিকিৎসা না দিতে চাইলে রোগীদের মধ্যে ক্ষোভ এবং কাউকে কান্না করতেও দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হিজলাকর গ্রামের আতিয়ারের স্ত্রী শাপলা প্রায় ১০ বছর যাবৎ শনি ও মঙ্গলবার সপ্তাহে ২ দিন শিশুদের নানাবিধ উপসর্গসহ বিভিন্ন সমস্যার জন্য ঝাড়ফুঁক, পানিপড়ার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ২৮ এপ্রিল কুমারখালী থানায় শাপলা ও তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে এই ধরনের চিকিৎসা না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর থেকে শাপলার বাড়িতে সপ্তাহে ২ দিন রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ ছাড়াও কারো কান্না করতেও দেখা যায়।
চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা বললে জানান, শত্রুতাবশত এলাকার কিছু মানুষ শাপলার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে। শাপলা শুধু প্রথমবার প্রতিটি রোগীর কাছ থেকে তিন শত বায়ান্ন টাকা ও সোয়া কেজি চাল নিয়ে থাকেন। চাল না দিলে চারশত সত্তর টাকা দিতে হয়। পরে একাধিক বার আসলেও আর কোন টাকা দিতে হয় না।
শাপলা কবিরাজ জানান, তিনি জ্বিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। মানুষ উপকার পাচ্ছেন বলে তার কাছে আসেন। তিনি কোন অবৈধ কাজ করছেন না। তাকে পুনরায় মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আকুতি জানান।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকিবুল ইসলাম জানান, এটা এক ধরনের প্রতারণা। কিছু অশিক্ষিত মানুষ অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে এ সকল কবিরাজদের কাছে আসছেন চিকিৎসা নিতে। জটিল রোগে আক্রান্ত অনেকেই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে এসব জায়গায় চিকিৎসা করিয়ে বিপদগ্রস্ত হয়ে থাকেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available