কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি: ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিন কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী-চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে ব্যস্ততা বেড়েছে। আর এ সময়ে পানির স্তর নীচে থাকায় পল্টুনে গাড়ি উঠতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পরেছে মানুষ।
১২ এপ্রিল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাইখালী ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায় অসংখ্য গাড়ি ফেরিতে উঠার জন্য অপেক্ষা করছে। সেই সাথে লোকজনেরও আনাগোনা বেড়েছে বহুগুণ।
এ সময় কর্ণফুলি নদীতে ভাটা থাকায় পানির স্তর নীচে নেমে গিয়ে নদীর অনেক জায়গায় চর জেগে উঠে। যার ফলে ফেরিতে উঠার জন্য ব্যবহুত পল্টুন একদম নীচে নেমে যায়। ফলে মোটরসাইকেল এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা ফেরি হতে পল্টুনে উঠতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । কয়েকটি মোটরসাইকেল উপরে উঠতে গিয়ে উল্টে যায়। চন্দ্রঘোনা থানার এস আই মকবুল হোসেন এবং পুলিশ সদস্যদের দেখা যায় রাইখালী ফেরিঘাটে পল্টুনে গাড়ি উঠতে সহায়তা করতে।
কথা হয় সিএনজি চালক আজমত, মো. ইদ্রিচ, হেমন্ত তনচংগ্যা এবং মোটরসাইকেল আরোহী রাজেশ, আকবর, দেবাশীষ এবং লোকমানের সাথে। তাঁরা সকলেই বলেন, আজকে ফেরি দিয়ে প্রচুর গাড়ি এবং লোকজন চলাচল করছে। এছাড়া ভাটার কারণে নাব্যতা সংকটে কর্ণফুলি নদীতে চর জেগে উঠায় পল্টুন দিয়ে গাড়ি ফেরি হতে উঠতে এবং নামতে ভিষণ কষ্ট হচ্ছে।
চন্দ্রঘোনা থানার এসআই মকবুল হোসেন বলেন, ঈদের বন্ধে প্রচুর লোকজন ঘুরতে বের হয়েছে । প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫ শতের মতো হালকা এবং ভারি যানবাহন চলাচল করছে এই ফেরি দিয়ে। বেলা ১২টা হতে নদীতে ভাটা থাকায় পানির স্তর নীচে নেমে যায়, ফলে ফেরিতে উঠার পল্টুনও অনেক নীচে নেমে যায়। যার ফলে গাড়ি ফেরিতে উঠতে এবং নামতে ভিষণ কষ্ট হচ্ছে। আমরা পুলিশের পক্ষ হতে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছি।
ফেরির চালক মো. আমিন এবং ফেরির কর্মচারি মো. শাহজাহান বলেন, ঈদের কারণে গাড়ি চলাচল বহুগুণ বেড়েছে। আমরা বড় ফেরি দিয়ে গাড়ি পারাপার করছি৷ সকাল হতে বেলা ১২টা পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি হালকা এবং ভারি যানবাহন পারাপার করেছি। সেইসাথে প্রচুর লোকজনও চলাফেরা করছে এই ফেরি দিয়ে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available