• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৮:১৭:০৯ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৮:১৭:০৯ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

আলুর দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাজশাহীর আলু চাষিরা

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩:২৯

আলুর দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাজশাহীর আলু চাষিরা

মাহবুব জুয়েল, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে আলুর দাম নিয়ে আলু চাষিরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আলু চাষিরা জানান, মৌসুমের শুরুর দিকে আলুর ভালো দাম পেলেও ভরা মৌসুমে বাজার ভালো নয়। অধিকাংশক্ষেত্রে বর্তমান বাজার মূল্যে আলু বিক্রি করে উৎপাদন খরচও উঠছে না।

উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের আলু চাষী মইফুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আলুর ভালো চাহিদা ও দাম থাকায় লাভের আশায় আলু চাষে ঝুঁকে ছিলেন। কিন্তু যখন মাঠ থেকে আলু উত্তোলন শুরু হবে, এমন সময় ভারত থেকে আলু আমদানি করায় দেশি আলুর দাম কমে গেছে। এতে কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়বে।

আলু চাষী সেলিম বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে বাজারে আগাম আলুর দাম উঠেছিল আশি থেকে একশ’ টাকা কেজি। সেই হিসাব করে আমরা আশা করে ছিলাম এবার আলু আবাদ করে বেশ লাভবান হতে পারবো। যে কারণে আগের বছরের তুলনায় এবার বীজ, সার, সেচ, হাল, শ্রমিক, কীটনাশক ইত্যাদির খরচ কিছুটা বেশি হলেও আলু আবাদ করেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, শুরুর দিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুর গাছও ভালো হয়েছিল। কিন্তু মাঝে এমন শীত আর কুয়াশা পড়লো, এতে গাছে পচন ধরে অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েকবার ওষুধ স্প্রে করে সেই আলুর গাছ রক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও আলুর ফলন ব্যাহত হয়েছে। গতবার এক বিঘা জমিতে একশ’ মন আলুর ফলন হলেও এবারে বৈরি আবহাওয়ার কারণে ৭০ থেকে ৮০ বস্তার বেশি হচ্ছে না।

আলু চাষী মইফুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার একশ’ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় আমার খরচ হবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। মাঘের শীতে দিনব্যাপী বৃষ্টির কারণে বোঝার উপায় নেই শীতকাল, না বর্ষাকাল। মাঘের শীতে আষাঢ়ের মতো এমন টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে আলু ক্ষেত। এতে ক্ষেতে পানি জমে থাকার কারণে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।

জানা গেছে, তানোরে চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে- যা দেশের তৃতীয়। এবার এক বিঘা আলু চাষে খরচ প্রায় ৬০ হাজার টাকা এবং এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ প্রায় ১৫ টাকা। এর মধ্যে জমির ভাড়া ২০ হাজার, জমি প্রস্তুতি প্রায় আড়াই হাজার, বীজ প্রায় ১৬ হাজার, সার প্রায় ৬ হাজার, কীটনাশক প্রায় ৩ হাজার, রোপণ ব্যয় প্রায় ৩ হাজার, টপকরণ প্রায় ৩ হাজার, সেচ প্রায় দেড় হাজার, দেখভাল ব্যয় প্রায় ২ হাজার ও উত্তোলন ব্যয় প্রায় ৫ হাজার টাকা।

প্রতি বিঘায় গড় উদপাদন ৭০ বস্তা বা সাড়ে ৪ হাজার কেজি। এছাড়াও আলু স্টোরজাতকরণে প্রতি কেজির খরচ প্রায় ৮ টাকা। তাছাড়া ৬০ কেজি ওজনের বস্তা স্টোরে রাখা হলে বের করার সময় ৫০ কেজি আলু পাওয়া যায়।

আলু চাষী আব্দুর রশিদ বলেন, এবার লাভের আশায় আলু চাষ করেছিলাম। কিন্তু সেই আশায় তো আমাদের গুড়েবালি। ভারত থেকে আলু আমদানির ফলে দাম কমে এসেছে। বর্তমানে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। যে হারে খরচ বেড়েছে, বিশেষ করে সার, বীজ, হালচাষ, এককথায় সবকিছুর দাম বেশি কিন্তু আলুর দাম কম। যার কারণে আলু চাষ করে এবার লাভের আশা করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এবার উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে- যা দেশের তৃতীয়। নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য রোগবালাই কম ছিল।

তিনি আরও বলেন, দাম নির্ধারণ বা নিয়ন্ত্রণ করা তো কৃষি অফিসের কাজ না। এজন্য বিপণন বিভাগ রয়েছে। তবে বাজারে যে দাম আছে হিমাগারে রাখলে পরে দাম পাবে বলে তিনি মনে করেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ
২৪ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ০৭:৫৪:৫২