• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১১:০৪:০৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১১:০৪:০৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

পলাশে সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ

২৫ অক্টোবর ২০২৪ সকাল ১১:৪০:১৭

পলাশে সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীর পলাশে পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দানকৃত জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাধব মিত্রের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি দানকৃত জমিতে গড়ে তুলেছেন বসতভিটা ও সমিতির অফিস। এতে করে কমে যায় ওই বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে ঘোড়াশাল দিগদা গ্রামে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে ওই গ্রামের কৃষ্ণচরণ মিত্র ও রাজেন্দ্র মিত্র নামে দুই ব্যক্তি ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কৃষ্ণচরণ মিত্রের ছেলে মাধব মিত্র। দীর্ঘ সময় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকাকালে মাধব মিত্র বিদ্যালয়ের দানকৃত জমির অধিকাংশই নিজের দখলে নিয়ে নেন। সেই জমিতে গড়ে তুলেন বসতভিটা ও অনুপম কো-অপারেটিভে ক্রেডিট ইউনিয়ন নামে এক সমিতির স্থাপনা।

২০১১ সালে বিআরএস জরিপে বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমির পরিবর্তে রেকর্ড হয় ২০ শতাংশ জমি। তবে ওই জমির একটি অংশ দাবি উঠে রেলওয়ের। এর ফলে বিদ্যালয়ের প্রকৃত জমির পরিমাণ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন দায়িত্বরত শিক্ষকরাও।

পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এই বিদ্যালয়টি ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়। স্থাপিত হওয়ার সময় এই বিদ্যায়ের নামে ৩৩ শতাংশ জমি দান বাবদ দলিল হয়। ১৯৮৪ সাল থেকে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে জমিদাতা শ্রী কৃষ্ণ চরন মিত্রের পুত্র বাবু মাধব চন্দ্র মিত্র দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে বিদ্যালয়ের সমুদয় তথ্যাদি ও কাগজপত্র তার নিকটেই ছিল। ২০২০ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করলে তখনকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক মিয়া। তার নিকট বিদ্যালয়ের নামে ৩৩ শতাংশের একটি সাব কাওলা জমির দলিল ও বিআরএস পর্চা ২৭.১২ শতকের বুঝিয়ে দিয়ে যান সাবেক প্রধান শিক্ষক।

তিনি আরও জানান, আব্দুর রাজ্জাক দায়িত্ব থাকা কালীন আমলে স্থানীয়ভাবে মাপা হলে ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ১৭ শতাংশের মতো জমি দখলে পাওয়া যায়। ২০২৩ সালে নতুন প্রধান শিক্ষক হিসাবে আমি যোগদান করে আবারও জমি সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে গেলে বিষয়টি আমলে আনি। বাবু মাধব মিত্রকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই করার নেই বলে জানান। বর্তমানে ২০২৪ সালে এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এক জরিপ নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। তখন জানতে পারি এই বিদ্যালয়ের ভবনটি রেলওয়ের জমিতে আংশিক স্থাপিত আছে। এমতাবস্থায় সাবেক প্রধান শিক্ষার বাবু মাধব মিত্রের কাছে আবারও যোগাযোগ করলে তিনি নানা রকম অজুহাত দেখাতে শুরু করেন। বর্তমানে আমি গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাবু মাধব মিত্রের নিকট পুনরায় গেলে তিনি রেগে যান এবং বলেন, আমি জমি দিতে পারব না। পরে আমি বিষয়টি লিখিতভাবে পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করি।

এদিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধিসহ ৩৩ শতাংশ জমি বরাদ্দ থাকায় ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করে সরকার। জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টি টিকে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক প্রধান শিক্ষক মাধব মিত্র বলেন, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিদ্যালয়টির জমির নির্দিষ্ট কোনো সিমানা ছিল না এবং আমার বাবার দানকৃত জমি কোথায় আছে তাও আমি জানি না।

এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজা খান ইউসুফজী বলেন, বিদ্যালয়ে দানকৃত জমি আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই । আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অচিরেই বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিচ্ছি। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩