প্রধান প্রতিবেদক, বাতেন বিপ্লব, নিউ ইয়র্ক থেকে: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানেও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কীভাবে ছাত্র-জনতা সাহস নিয়ে বুক পেতে দাঁড়িয়েছে, সেই ঘটনা পুরো বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বক্তব্যের শেষদিকে তার বিশেষ সহকারী মাহফুজসহ মোট ৩ জনকে স্টেজে ডেকে এনে আন্দোলনে তাদের ভূমিকা প্রকাশ করেন। তাদের মধ্যে একজনকে নিয়ে বিতর্ক ওঠায় গণ-অভ্যুত্থানে সেই তৃতীয় ব্যক্তির ভূমিকা ও নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মঞ্চে উঠা সে তৃতীয় ব্যক্তি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, সিজিআই ইভেন্টের লোকটি একজন অনুপ্রবেশকারী এবং একজন অসৎ ব্যক্তি ছিল। তার এ অনুপ্রবেশ নাশকতার অংশ।
মাহফুজ বলেন, ওই ব্যক্তি ব্যক্তিগতভাবে সিজিআই ইভেন্টে যোগ দেন। সেখানে প্রতিনিধি দলের সদস্যসহ আমরা তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতাম না। তিনি প্রতিনিধি দলের কারো সাথে যোগাযোগও করেননি।
তিনি আরও বলেন, স্যার যখন আমাদের মঞ্চে ডাকলেন, তিনি তড়িঘড়ি করে দাঁড়িয়ে আমাদের আগে মঞ্চের দিকে ছুটে গেলেন। আমি সেই লোকটিকে মঞ্চে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারিনি, যদিও আমি সন্দেহজনক ছিলাম। আবার বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে আমি অসহায় বোধ করছিলাম। মনে হয়, এটা ছিল ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতের একটি পূর্ব-পরিকল্পিত কাজ। আমি আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা তার অনুপ্রবেশরোধ করতে পারিনি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, আমরা আগামী দিনে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকব এবং এই অনুপ্রবেশকারীদের জবাবদিহি করব।
এদিকে ড. ইউনূসের মঞ্চে উঠা ওই ব্যক্তির নাম জাহিন রোহান রাজিন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকজন নিশ্চিত করেছেন। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের ছবিও পাওয়া গেছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available