খুলনা ব্যুরো: ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে।
১৭ মার্চ রোববার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকালে খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ও মহানগর কমান্ড, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুনু রেজা, বিভাগীয় প্রশাসন, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার, কেডিএ, শ্রম অধিদপ্তর, আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি), সিভিল সার্জন দপ্তর, আনসার ভিডিপি, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, জাতির পিতার ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। একদিনে দেশের স্বাধীনতা আসেনি, অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সকল আন্দোলনে জাতির পিতা সক্রিয় ছিলেন। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর হবে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ ধারণ করে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে যাবে বলে মেয়র আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুনু রেজা। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. ফারুক আহাম্মদ, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নিজামুল হক মোল্যা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির ও সাবেক জেলা কমান্ডার সরদার মাহাবুবার রহমান। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদ জোহর সকল মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সরকারি ভবনসমূহ সজ্জিতকরণ, সড়ক ও সড়কদ্বীপে সৌন্দর্যবর্ধন ও আলোকসজ্জা করা হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরভবনে শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় পত্রিকাগুলো এ উপলক্ষ্যে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available